এবার, যা-ই থাক না কেন, জল পরিস্রুত করতে করতে এক সময়ে সেই ফিল্টার তার কর্মক্ষমতা হারাতে শুরু করে, অতএব সেটা বদলে নেওয়ার দরকার হয়। অ্যাকোয়াগার্ডে যেমন প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর ফিল্টার বদলানো হয়ে থাকে। এয়ার পিউরিফায়ারের ক্ষেত্রেও ফিল্টার বদলানোর এই একই নিয়ম খাটে।
আরও পড়ুন- প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে উদযাপনের উষ্ণতা,ভার্চুয়াল রাখি-তে মজেছে গোটা বিশ্ব
advertisement
কেন না, এয়ার পিউরিফায়ারও জলের ফিল্টারের মতো একই কাজ করছে। সে বাতাস থেকে শোষণ করে নিচ্ছে নানা দূষিত কণা, ধুলো, ক্ষতিকর গ্যাস। সে সব জমা হতে থাকছে দিনের পর দিন ফিল্টারের গায়ে।
অতএব, এই ধরনের ফিল্টার সমেত যন্ত্রটা ফেলে রেখে দিলে এয়ার পিউরিফায়ার কিন্তু ঘরের বাতাস নির্মল করে তুলতে পারবে না, ফলে তা ব্যবহার করা হলেও প্রত্যাশিত ফল তো মিলবেই না, উল্টে বরং অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
যাঁদের হাঁপানির সমস্যা আছে, তাঁদের পক্ষে ফিল্টার না বদলানো এয়ার পিউরিফায়ার বিপত্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু, ফিল্টার কখন বদলাতে হবে, সেটা কী ভাবে বোঝা যাবে?
সহজ ভাবে বলতে গেলে এক্ষেত্রে চোখ রাখতে হবে ব্যবহারের ধরনের উপরে। এয়ার পিউরিফায়ারের ফিল্টার কোন ধরনের, তা কত ঘন ঘন ব্যবহার করা হচ্ছে- এই সব কিছু পরিমাপ করে নিতে হবে এক্ষেত্রে। তার পর সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ কাম্য।
এক্ষেত্রে আরও একটা বিষয় মাথায় না রাখলেই নয়, সেটা হল পরিবেশে দূষণের মাত্রা। যাঁরা বেশি দূষিত পরিবেশে বাস করেন, বলাই বাহুল্য, তাঁদের ফিল্টার বদলানোর দরকার অন্যদের চেয়ে বেশি হবে। তবে, সবটাই নির্ভর করবে ফিল্টার কী জাতের তার উপরে।
এয়ার পিউরিফায়ারে সাধারণত দুই জাতের ফিল্টার থাকে- হেপা আর অ্যাকটিভেটেড কার্বন ফিল্টার। সাধারণত ব্যবহার শুরু করার পরের ৬ মাস থেকে ১ বছরের মাথায় হেপা ফিল্টার বদলানোর দরকার হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, অ্যাকটিভেটেড কার্বন ফিল্টার ৩ থেকে ৬ মাসের মাথাতেই বদলাতে হয়। এটা সাধারণ নিয়ম, যন্ত্রবিশেষে এর তারতম্য হতেই পারে। সেজন্য কেনার সময়েই সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে তা জেনে নিতে হবে বা তাদের কাস্টমার কেয়ারে কথা বলে নিয়ম বুঝে নিতে হবে।