নতুন এই টুলের সাহায্যে TikTok বা Snapchat-এর মতো ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করা যেতে পারে। আর অফিসের সহকর্মীদের মধ্যে খুব সহজেই শেয়ার করা যায় রেকর্ড করা এই ভিডিওগুলি। এর ফলে আলাদা করে কোনও মিটিং শিডিউল করার প্রয়োজন পড়ে না। যে কোনও জটিল বিষয় ভালো করে ছোট ছোট ভিডিওর মাধ্যমে বুঝিয়ে দেওয়া যায়। বর্তমানে ব্রাউজার বা ক্রোম এক্সটেনশন থেকে সহজেই ডাউনলোড করা যায় Threadit। একবার ভিডিও রেকর্ড হয়ে গেলে, তা ই-মেইল বা চ্যাটের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। এর জেরে অপ্রয়োজনীয় মিটিংয়ের সংখ্যাও কমতে পারে। কী ভাবে ব্যবহার করা যাবে এই টুল? এক্ষেত্রে সরাসরি কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে হবে। রেকর্ড হয়ে গেলে পাঠিয়ে দিতে হবে ভিডিও মেসেজটি।
advertisement
এই বিষয়ে Threadit-এর জেনারেল ম্যানেজার কেলার স্মিথ (Keller Smith) জানান, সিয়াটল-এ থাকাকালীন তিনি তাঁর জাপানের সহকর্মীদের একটি Threadit পাঠান। টোকিও থেকে যথাসময়ে সেই Threadit-এর রেসপন্স করেন অফিসের সহকর্মীরা। এই টুলটি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে একটি অদ্ভুত যোগসূত্র তৈরি হয়। মনে হয়, যেন সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন। মজার বিষয়টি হল, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নানা সময়ে রেসপন্স করলেও সামগ্রিক কাজের মধ্যে সর্বদা একটি যোগসূত্র বজায় থাকে। বর্তমানে ব্রাউজার এক্সটেনশন হিসেবে কাজ করছে এটি।
এক্ষেত্রে যাঁরা ক্রোম এক্সটেনশন ব্যবহার করেন, তাঁরাও খুব সহজে যে কোনও সময়ে স্ক্রিনের যে কোনও ক্লিপ রেকর্ড করতে পারেন। এমনকি Gmail-এর মধ্যেও এই কাজ করা যাতে পারে। তাছাড়া লিঙ্কের মাধ্যমে যে কারও সঙ্গে সহজেই শেয়ার করা যাবে এই রেকর্ড করা ভিডিও বা ক্লিপিংগুলি। উল্লেখ্য, Google-এর ইনকিউবেটর ডিভিশনের একটি টিম তৈরি করেছে এই টুল। ডেভেলপিং টিমের বার্তা, এই সময়ে ঘরে বসে দূর-দূরান্তে এমনকি প্রত্যন্ত এলাকাতেও লোকজন নানা ধরনের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এক্ষেত্রে এই ধরনের টুল সামগ্রিক কাজকে আরও সহজ করে তুলবে। টুলটি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে।
