আসলে Tinder Matchmaker এবং Share My Date-এর মতো ফিচারের সাফল্যের কারণেই এই নয়া ফিচারটি তৈরি করেছে Tinder। এই দুই ফিচার আসলে ব্যবহারকারীর বন্ধু এবং পরিবারকে ডেটিংয়ের সফরে ইনভাইট করে। Double Date ফিচারটি সোয়াইপ এক্সপেরিয়েন্সকে শেয়ার্ড অ্যাডভেঞ্চারে পরিবর্তিত করে।
আরও পড়ুন: গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত! কোন কোন জেলায় হবে প্রবল ঝড়বৃষ্টি, সোমবার থেকে কতদিন চলবে দুর্যোগ?
advertisement
Tinder-এর তরফে বলা হয়েছে যে, এই ফিচার মূলত Gen Z ব্যবহারকারীদের জন্যই আনা হয়েছে। কারণ এই প্রজন্মের ব্যবহারকারীরা ডেটিংয়ের বিষয়টাকে সামাজিক অভিজ্ঞতা বলে গণ্য করে। এমনকী পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় এ-ও দেখা গিয়েছে যে, প্রায় ৯০ শতাংশের কাছাকাছি Double Date প্রোফাইল তৈরি করেছেন এমন ব্যবহারকারীরা, যাঁদের বয়স ২৯ বছরের কম। প্রচলিত ওয়ান-অন-ওয়ান প্রোফাইলের তুলনায় নারীদের জুটি বা পেয়ার পছন্দের সম্ভাবনা তিন গুণ বেশি।
Tinder-এর লক্ষ্য হল, ডেটিংয়ের বিষয়টাকে আরও ক্যাজুয়াল করে তোলা। শুধু তা-ই নয়, এটি কমবয়সী এবং মহিলা ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে কম সমস্যাদায়ক করে তোলা। Double Date সাধারণত এমন একটি পন্থা প্রদান করছে, যা প্রথম সাক্ষাতের ক্ষেত্রে থাকা চাপকে অনেকটাই সহজতর করে তুলবে। কারণ এর জেরে ডেটিং মূলত টিম-ভিত্তিক হয়ে উঠবে। আর অভিজ্ঞতাও হবে সহায়ক।
Tinder-এর Double Date ফিচার কী এবং তা কীভাবে কাজ করে?
ব্যবহারকারীরা সহজেই এই Tinder-এর Double Date ফিচার সক্রিয় বা অ্যাক্টিভেট করতে পারবেন। কীভাবে তা কাজ করে।
পেয়ার-আপ করার জন্য বন্ধুদের ইনভাইট করা:
মেন কার্ড স্ট্যাক স্ক্রিনের উপরের ডান দিকের কোণায় Double Date আইকনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর তিন জন বন্ধু পর্যন্ত সিলেক্ট করে পেয়ার বা ডুটি ক্রিয়েট করতে হবে।
ম্যাচ টুগেদার:
মেন কার্ড স্ট্যাক দিয়ে স্ক্রোল করতে হবে। তারপর Double Date-এ এমন জুটি পছন্দ করতে হবে, যাঁদের এনার্জি ব্যবহারকারীদের সঙ্গে ম্যাচ করছে। একটি জুটিকে একটিমাত্র লাইকই দেওয়া যাবে। ম্যাচ তৈরি হয়ে গেলে একটি গ্রুপ চ্যাট তৈরি হবে।
কম চাপযুক্ত পরিকল্পনা প্রস্তুত:
ছোট ছোট কথাবার্তা এবং মানসিক চাপ সীমিত করতে হবে। কারণ ডেটিং কিন্তু কোনও চাকরির ইন্টারভিউ নয়, এটা সব সময় মনে রাখা আবশ্যক।