TRENDING:

গাড়ির টায়ারে হাওয়া ভরাবেন নাকি নাইট্রোজেন? আগে জেনে নিন ভাল-মন্দ

Last Updated:

Car tyre Nitrogen: গাড়ির টায়ারে হাওয়া ভরা উচিৎ নাকি নাইট্রোজেন!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: চাকার হাওয়া… সেটাই বোধহয় গাড়ির মূল বিষয়। জ্বালানীর মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ‘হাওয়া বেরিয়ে গেলে’ গাড়ির কী দশা হয় তা আমরা সকলেই জানি, তাই ‘হাওয়া বেরিয়ে যাওয়া’ রীতিমতো প্রবাদ।
advertisement

কিন্তু এই হাওয়া বলতে আমরা কী বুঝি?

দীর্ঘদিন ধরেই গাড়ির টায়ারে সাধারণ বাতাস ভরা হয়, এমনই ছিল ধারণা। এখন সেই ধারণা বদলাচ্ছে একটু একটু করে। টায়ারের জন্য অনেকেই নাইট্রোজেন ভরে নিতে চাইছেন।

সাধারণ বাতাস বা নাইট্রোজেন, গাড়ির টায়ারে জন্য কোনটা ভাল, কোনটার কী উপকার, কোথায় অসুবিধা— আমরা জানি না অনেকেই।

advertisement

আরও পড়ুন- iPhone কেনার ইচ্ছে বহু মানুষের, অনেকের স্বপ্ন! আই ফোনের ‘i’ মানে কী বলুন তো!

দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—

নাইট্রোজেন একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস। অর্থাৎ, এটি অন্য কোনও পদার্থের সঙ্গি বিক্রিয়া করে না। তার ফলে টায়ারের ভিতরে ক্ষয়ের আশঙ্কা কমে।

আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে টায়ারের উপর চাপ বাড়ে বা কমে। নাইট্রোজেন ভরা থাকলে সেই চাপের ওঠানামা কম অনুভূত হয়। তার ফলে জ্বালানী অবং নিরাপত্তা দুইই ভালভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়।

advertisement

তবে হ্যাঁ, বিশেষত ভারতবর্ষের মতো দেশে নাইট্রোজেনের তুলনায় সাধারণ বাতাস অনেক বেশি সহজলভ্য। কিন্তু এটাও ঠিক যে ভারতীয় যানচালকরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন রাস্তায় তা অনেকবেশি ভাল মোকাবিলা করতে পারে নাইট্রোজেন।

গাড়ির টায়ার পছন্দ করার আগেই নাইট্রোজেন এবং সাধারণ বাতাসের কার্যকারিতার পার্থক্য বোঝা দরকার।

১. মূল্য— নাইট্রোজেন ভরার খরচ বেশ খানিকটা বেশি। সাধারণ বাতাসের খরচ কম, কোথাও প্রায় নিখরচায় মেলে।

advertisement

২. প্রাপ্যতা— নাইট্রোজেন এখনও সব জায়গায় সহজে পাওয়া যায় না। অথচ, যেকোনও জ্বালানী স্টেশন, টায়ারের দোকানে হাওয়া ভরে নেওয়া যায় সহজে।

৩. চাপ ধারণ— নাইট্রোজেনের অণুগুলি বড়। এর ফলে তা দীর্ঘক্ষণ চাপ ধরে রাখে, চাপ হ্রাসের প্রক্রিয়াও ঘটে ধীর গতিতে। সাধারণ বাতাসের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি প্রায় একই। খুব বেশি ফারাক নেই।

advertisement

৪. টায়ারের তাপমাত্রা— সাধারণত নাইট্রোজেন ব্যবহার করলে তুলনামূলক ভাবে টায়ারে তাপমাত্রা কম থাকে। সাধারণ বাতাসে নাইট্রোজেনের তুলনায় তাপমাত্রা বাড়ে।

আরও পড়ুন- ৩টির বেশি ট্রাফিক চালান? ভয়ঙ্কর বিপদে পড়তে পারেন, এমন কাজ করলেই মুশকিল

৫. টায়ার রক্ষণাবেক্ষণ— নাইট্রোজেন ফিলিং স্টেশন ছাড়া অন্য কোনও জায়গা থেকে নাইট্রোজেন ভরা ঠিক নয়। সাধারণ বাতাসের সঙ্গে মিশিয়ে নাইট্রোজেন ভরাও ঠিক নয়। ফলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। অন্যদিকে সাধারণ বাতাস যেকোনও জায়গা থেকে ভরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

৬. টায়ারের স্তর— স্থিতিশীল চাপের কারণে টায়ারের উপরে ক্ষয় কম হয়। এর আর একটি প্রধান কারণ হল আর্দ্রতা কম থাকা। অক্সিডেশন কম হওয়ায় টায়ারের ক্ষয় কম হয়। ফলে তা দীর্ঘজীবী হয়ে থাকে। অর্থ সাশ্রয়ও হয়। সাধারণ বাতাসের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

৭. নিরাপত্তা— চাপের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকার কারণে নাইট্রোজেন ভরা টায়ারে বিস্ফোরণের আশঙ্কা কম। ফলে নিরাপত্তা অনেক বেশি, অন্তত সাধারণ বাতাস ভরা টায়ারের তুলনায় তো বটেই।

বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
গাড়ির টায়ারে হাওয়া ভরাবেন নাকি নাইট্রোজেন? আগে জেনে নিন ভাল-মন্দ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল