প্রশ্ন আসে, বাইক থামানোর সময় প্রথমে ক্লাচ না ব্রেক – কোনটি চাপতে হবে? এটি একেবারেই নির্ভর করে বাইকের গতির উপর। অনেকে বিষয়টিকে ততটা গুরুত্ব দেন না, কিন্তু সঠিক নিয়ম না মানলে ইঞ্জিন জ্যাম হয়ে যেতে পারে কিংবা ক্লাচ প্লেট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে বাইকের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই গাড়ির গতি অনুযায়ী সঠিক নিয়ম জানা অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
আরও পড়ুন- এসি বাড়ির কোনদিকে রাখা ভাল? ভুল জায়গায় AC থাকলেই বিপদ, খরচ বেড়ে যাবে
ক্লাচের ভূমিকা: ক্লাচ মূলত গিয়ারবক্স থেকে চাকা বিচ্ছিন্ন করার কাজ করে। যখন ক্লাচ চাপা হয়, তখন গিয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বাইক থামতে পারে। যদি ক্লাচ না চেপে বাইক থামানোর চেষ্টা করা হয়, তা হলে ইঞ্জিন জ্যাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যা ট্রান্সমিশন এবং ক্লাচের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
বাইক থামানোর সঠিক পদ্ধতি: বাইক থামানোর পদ্ধতি নির্ভর করে বাইকের গতির উপর।
গতি কম থাকলে: যদি বাইকের গতি গিয়ারের সর্বনিম্ন গতির চেয়ে কম হয়, তা হলে প্রথমে ক্লাচ চাপতে হবে, এর পর ব্রেক। এতে বাইকের ইঞ্জিন জ্যাম হবে না এবং গিয়ারবক্সে অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়বে না। সাধারণত শহরের ট্রাফিকের মধ্যে এই নিয়ম অনুসরণ করা হয়, যেখানে গাড়ি ধীরগতিতে চলে।
আরও পড়ুন- AC-র ইনডোর-আউটডোর ইউনিটের মধ্যে দূরত্ব কত রাখতে হয়? জানলে এসি ভাল থাকবে
গতি বেশি থাকলে: যদি বাইকের গতি বেশি হয়, তা হলে প্রথমে ব্রেক চাপতে হবে। গতি যখন গিয়ারের সর্বনিম্ন গতির নিচে নেমে আসবে, তখন ক্লাচ চাপতে হবে। এতে ইঞ্জিনের উপর চাপ পড়বে না এবং গাড়ি নিরাপদে থামানো যাবে।
জরুরি পরিস্থিতিতে: যদি হঠাৎ সামনে কোনো বাধা এসে পড়ে, তাহলে এমার্জেন্সি ব্রেকের ক্ষেত্রে একসঙ্গে ব্রেক ও ক্লাচ দুটোই চাপতে হবে। এতে দ্রুত গতির গাড়িও নিরাপদে থেমে যাবে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে।
বাইক থামানোর সময় ব্রেক ও ক্লাচের সঠিক ব্যবহার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু বাইকের ইঞ্জিন ও ক্লাচ প্লেটের স্থায়িত্ব বাড়ায় না, বরং নিরাপত্তার দিক থেকেও অত্যন্ত কার্যকরী। তাই, বাইক চালানোর সময় এই নিয়মগুলি অবশ্যই মনে রাখা উচিত।