গাড়ির ভিতরে পা ছড়িয়ে বসার জায়গা ঠিক কতটা, বা ঠিক কত মসৃণ ভাবে সে এগিয়ে চলবে এবড়ো খেবড়ো রাস্তায়, তা নিয়ে সমঝদারের যতখানি মাথা ব্যথা, তার থেকে বেশ খানিকটা বেশি বোধহয় গাড়ির চেহারা নিয়ে।
আর এই সব কথা মাথায় রেখেই বাজারে আসে নিত্য নতুন মডেলের নানা গাড়ি। এক এক সংস্থার এক এক রকম বাজারদর। এরই মধ্যে সারা বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে ঝড় তুলতে এসেছে BMW-র নতুন মডেল। একটি গাড়ি কিনলেই সারা জীবনের সাধ পূরণ।
advertisement
আরও পড়ুন- Wagon R এবার চলবে ইথানলে! ২০২৩-এ বাজার কাঁপানোর ইঙ্গিত দিল মারুতি
না, কথাটা ভারতীয় নাগরিকের পকেটের কথা ভেবেই যে বলা, এমনটা নয়। বরং এই কথা তাঁদের জন্য যাঁরা খুব সহজেই বিরক্ত হয়ে পড়েন, একঘেয়েমিতে ভোগেন।
BMW আনতে চলেছে এমন একখানা গাড়ি, যা ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলে ফেলতে পারবে। তবে মোটেও গিরগিটির মতো নিজের ইচ্ছেয় নয়, একান্তই মালিকের মর্জি মতো।
বছর খানেক আগে BMW তাদের রঙ বদলানো গাড়ি পরিবারের প্রথম সদস্য iX Flow-এর সঙ্গে সারা বিশ্বের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। তা নিয়েও যথেষ্ট উৎসাহ ছিল মানুষের মধ্যে।
কিন্তু এবার তো আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে এই সংস্থা। সিইএস প্রযুক্তিতেই আরও খানিকটা উন্নতি করে ফেলেছে। iX Flow-এর মতো শুধু দু’টি রঙের বদল নয়, এবার বদল হবে অন্তত ৩২টি রঙের। আর সেই লক্ষ্যেই আসছে সংস্থার নতুন I
আরও পড়ুন- এবার আইফোন কেনার ইচ্ছে হবে পূর্ণ! iPhone 14 Plus-এ আকর্ষণীয় ছাড়
Vision Dee নামের এই নতুন ধারণার ক্ষেত্রে মূখ্য প্রতিপাদ্য অবশ্যই ডিজিটাল আবেগ। আসলে DEE-এর তিনটি অক্ষর প্রতিনিধিত্ব করছে ডিজিটাল ইমোশনাল এক্সপেরিয়েন্স-এর।
BMW গ্রুপের অংশীদার সংস্থা E Ink-এর তরফ থেকে সম্প্রতি একটি চলচ্ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে নতুন গাড়িটি প্রায় ৩২টি রঙে নিজেকে সাজিয়ে ফেলতে পারে।
জানা গিয়েছে BMW I Vision Dee সিরিজের এই গাড়িগুলির শরীরে রয়েছে প্রায় ২৪০টি E Ink বিভাগ। প্রতিটি ভাগকে আলাদা করে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা থাকবে মালিকের হাতে। তার ফলেই বদলে যাবে গাড়ির রঙ, ইচ্ছে খুশি মতো।
২৪০টি বিভাগ থাকায় অগণিত প্যাটার্নে সাজিয়ে দেওয়া যাবে গাড়ির রঙ, তাও আবার মুহূর্তের মধ্যে। এর জন্য প্রয়োজনীয় লেসার কাটিং প্রদ্ধতি এবং ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল তৈরি করতে সাহায্য করেছে সহযোগী সংস্থা E Ink।
অন্য দিকে, গাড়ির বাঁকানো অংশের ক্ষেত্রে যে প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়েছে বা যে ধরনের অ্যানিমেশন দরকার তা সবই তৈরি হয়েছে BMW গ্রুপের নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে। বোঝাই যাচ্ছে সারা বিশ্বে এই পদ্ধতি দারুন রকম মৌলিক।
তবে শুধু চেহারা নয়। মনে করা হচ্ছে, গতি নিয়েও যথেষ্ট সাহসী হতে চলেছে BMW।