এমনটা কেন হয়? চালক সে সব না বুঝেই বাইক সারাতে ছোটেন। জলের মতো টাকা বেরিয়ে যায়। আসলে বাইকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্টসের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। নাহলে বেগ দেবেই। এতে অন্যান্য পার্টসের উপর চাপ পড়ে। আস্তে আস্তে সেগুলোও বিগড়োতে শুরু করে। বাইকের কোন পার্টসগুলোর বিশেষ যত্ন প্রয়োজন? এখানে রইল তারই হদিশ।
advertisement
আরও পড়ুন- ইলেকট্রিক গাড়ি কিনবেন? তার সারা দেশে চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা শুনে নিন
ইঞ্জিন অয়েল: সময় মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে। প্রতি ৩০০০-৫০০০ কিমিতে একবার।
এয়ার ফিল্টার: এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা উচিত। প্রতি ২০০০ কিমিতে একবার।
চেইন এবং স্প্রোকেট: প্রতি ১০,০০০-১৫০০০ কিমিতে একবার চেন লুব্রিকেট করা এবং স্প্রোকেট বদল করা দরকার।
ব্রেক প্যাড: নিয়মিত ব্রেক প্যাডের অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে হয়। প্রতি ১০০০০-১৫০০০ কিমিতে একবার বদলানো উচিত।
টায়ার: নিয়মিত টায়ারের বায়ুর চাপ পরীক্ষা করতে হয়। এবং সময় মতো টায়ার প্রতিস্থাপন।
ব্যাটারি: ব্যাটারি টার্মিনালগুলি পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতি ২-৩ বছর অন্তর ব্যাটারি বদলাতে পারলে ভাল।
স্পার্ক প্লাগ: সময়মত স্পার্ক প্লাগ বদলানো উচিত। প্রতি ১০,০০০-১৫,০০০কিমিতে একবার।
এয়ার ফিল্টার: সময় মতো এয়ার ফিল্টারও বদলাতে হয়। প্রতি ২০০০ কিমিতে একবার বদলে ফেলার কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন- বাইক থামাতে আগে ক্লাচ চাপবেন না কি ব্রেক? ‘সঠিক’ নিয়ম কী? ৯০% মানুষ জানেন না
ফুয়েল ফিল্টার: প্রতি ১০,০০০-১৫০০০ হাজার কিমিতে একবার ফুয়েল ফিল্টার বদলাতে হয়।
ক্লাচ প্লেট: ক্লাচ প্লেটের আয়ু বেশি। তবে তবে প্রতি ২০,০০০-২৫,০০০ কিমিতে একবার বদলানো উচিত।
আরও কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে: ধুলো, কাদা এবং জল থেকে বাইকে রক্ষা করতে হবে। নিয়মিত ধোয়া এবং লুব্রিকেট ব্যবহার করা উচিত।
খেয়াল রাখতে হবে, ওভারলোড যেন না হয়।
বেশি জোরে বাইক চালানো উচিত নয়।
নিয়মিত সার্ভিসিং করাতে হবে।