এই উন্নততর ফ্রড ডিটেকশন সিস্টেমটি এয়ারটেলের সমস্ত মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড গ্রাহকদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করা হয়েছে। এটি SMS, WhatsApp, Telegram, Facebook, Instagram, ইমেল এবং অন্যান্য ব্রাউজারে শেয়ার হওয়া লিঙ্ক স্ক্যান করে ও ফিল্টার করে। রিয়েল টাইম থ্রেট ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে এই সিস্টেম প্রতিদিন ১ বিলিয়নের বেশি URL পরীক্ষা করে এবং ক্ষতিকারক সাইটগুলোকে ১০০ মিলিসেকেন্ডের মধ্যে ব্লক করে দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: নিঃশব্দে উড়ে হাঁড়ির খবর বের করতে সক্ষম! বিশ্বকে চমকে দিল চিনের বিশেষ ‘মশা ড্রোন’
উদাহরণস্বরূপ, যদি কলকাতার কোনও বাসিন্দা এমন একটি সন্দেহজনক বার্তা পান: “আপনার পার্সেল বিলম্বিত হয়েছে। এখানে ট্র্যাক করুন: http://www.tracky0urparcell.com” এবং যদি তিনি এই লিঙ্কে ক্লিক করেন, তাহলে Airte-এর সিস্টেম সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে যায়। এটি সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্কটি স্ক্যান করে এবং যদি সেটিকে বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করে, তবে ব্যবহারকারীকে সেখানে ঢুকতে দেয় না এবং একটি সতর্কবার্তায় পাঠানো হয়, যেখানে লেখা থাকে – “Blocked! Airtel found this site dangerous!” এই রিয়েল টাইম প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রাহকদের প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করে।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এয়ারটেলের পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার সিইও অয়ন সরকার বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিশ্বের প্রথম ফ্রড ডিটেকশন সলিউশন এখন পশ্চিমবঙ্গে চালু হয়েছে। ডিজিটাল হুমকি যেভাবে বাড়ছে, তাতে একটি শক্তিশালী ও সুরক্ষিত মোবাইল নেটওয়ার্ক আজ অপরিহার্য। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই প্রযুক্তি পশ্চিমবঙ্গের গ্রাহকদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা দেবে এবং তারা নিরাপদে ডিজিটাল দুনিয়া ব্যবহার করতে পারবেন।”
আরও পড়ুন: ভারতে আসছে ইলন মাস্কের Starlink! কী এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট? কীভাবে মিলবে পরিষেবা, বিস্তারিত জানুন…
ভারতের অন্যতম ডিজিটালি অগ্রসর রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের শহর ও গ্রাম উভয় অঞ্চলেই অনলাইন প্রতারণার ঝুঁকি বেড়েছে। প্রতারকেরা ফিশিং লিঙ্ক, ভুয়ো ডেলিভারি বার্তা ও জাল ব্যাঙ্কিং অ্যালার্ট পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করছে। শিলিগুড়ি, দুর্গাপুর, আসানসোল, খড়গপুর, মেদিনীপুর – এমনকি হাবরা, বোলপুর, বাঁকুড়ার মতো ছোট শহরেও এই প্রতারণার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। Airtel-এর সিস্টেম গোটা রাজ্যজুড়ে এক ডিজিটাল ঢাল হিসেবে কাজ করছে — যা প্রবীণ নাগরিক, গৃহবধূ, ছাত্রছাত্রী ও প্রথমবার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদেরও রক্ষা করছে।
AI-চালিত এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীর পছন্দের ভাষায় সতর্কবার্তা দেয়, যার মধ্যে বাংলা ভাষাও রয়েছে। এর ফলে রাজ্যের বহু মানুষের কাছে এটি আরও কার্যকর — বিশেষ করে সেখানে, যেখানে ইংরেজি কম ব্যবহৃত হয় বা ডিজিটাল শিক্ষা সীমিত।
এই প্রযুক্তিটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চুপচাপ কাজ করে, কোনও ইনস্টলেশনের প্রয়োজন হয় না এবং এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ অনলাইন ব্যাঙ্কিং থেকে শুরু করে সরকারি ই-সার্ভিস পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে ডিজিটাল গ্রহণের শীর্ষে রয়েছে, আর এই উদ্যোগ সেই নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিলিগুড়ির এক কর্মজীবী মানুষ, দুর্গাপুরের এক গৃহবধূ অথবা মেদিনীপুরের এক ছাত্র — Airtel তাদের প্রত্যেকের অনলাইন অভিজ্ঞতা আরও নিরাপদ করছে।
গত ৪১ দিনে, এই সিস্টেম দেশের জুড়ে ১.৮৮ লক্ষের বেশি বিপজ্জনক লিঙ্ক ব্লক করেছে এবং ৯৫.৬ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারীকে রক্ষা করেছে।