Starlink Satellite Internet Service: ভারতে আসছে ইলন মাস্কের Starlink! কী এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট? কীভাবে মিলবে পরিষেবা, বিস্তারিত জানুন...

এই পরিষেবা চালু হলে ভারতীয় গ্রামীণ ও দুর্গম অঞ্চলের ইন্টারনেট চিত্র আমূল বদলে যেতে পারে। তবে বেশ কিছু টেলিফন সংস্থা এই পরিষেবার বিরোধিতা করছে বলে জানা গেছে।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কী? স্যাটেলাইট ইন্টারনেট এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে উপগ্রহের (Satellite) মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা হয়। সাধারণত এটি সেই সমস্ত এলাকায় ব্যবহৃত হয়, যেখানে মোবাইল টাওয়ার বা ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছায় না— যেমন প্রত্যন্ত গ্রাম, পাহাড়ি অঞ্চল, দ্বীপ বা সাগরপারের অঞ্চল।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কীভাবে কাজ করে? এই পরিষেবায় একটি স্যাটেলাইট ডিশ এবং একটি মডেম ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারকারী কোনও অনুরোধ পাঠালে (যেমন— একটি ওয়েবসাইট খোলা), সেই অনুরোধ প্রথমে স্যাটেলাইট ডিশ থেকে উপগ্রহে যায়।

উপগ্রহ সেটি গ্রাউন্ড স্টেশনে (NOC) পাঠায়, যেখানে থেকে তথ্য প্রক্রিয়া করে আবার সিগন্যালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ডিভাইসে পাঠিয়ে দেয়। স্যাটেলাইটে আপলোড ও ডাউনলোডের সময়ের জন্য খানিকটা দেরি হতে পারে।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের প্রধান অংশগুলি - গ্রাউন্ড স্টেশন (NOC): এখানে সিগন্যাল প্রেরণ ও গ্রহণ হয়। স্যাটেলাইট: এটি পৃথিবীর কক্ষপথে ঘোরে এবং ডেটা আদান-প্রদানে ব্যবহৃত হয়। ইউজার ডিভাইস: ব্যবহারকারীদের কাছে একটি ছোট ডিশ ও মডেম থাকে, যেগুলি সিগন্যাল পাঠানো ও গ্রহণের কাজ করে।

ভারতে কেন গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট? ভারতের বহু গ্রামীণ বা দুর্গম অঞ্চলে এখনও ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেই সমস্ত জায়গায় দ্রুত ও স্থায়ী ইন্টারনেট ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বিশেষত স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা কৃষি সংক্রান্ত উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের সুবিধা: দূরবর্তী অঞ্চলে সংযোগ, যেখানে মোবাইল টাওয়ার বা ফাইবার পৌঁছায় না, সেখানে সিগন্যাল পাওয়া যায়।

মোবিলিটি: এটি সহজে যে কোনও স্থানে স্থাপন করা যায়, শুধু স্যাটেলাইট সিগন্যাল পৌঁছলেই হবে।

দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর: ভূমিকম্প, বন্যা বা অন্য দুর্যোগে যেখানে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের অসুবিধা: সিগন্যাল যাওয়া-আসায় সময় লাগে, ফলে রিয়েল-টাইম কাজ বা গেমিংয়ে সমস্যা হতে পারে।

আবহাওয়ার উপর নির্ভরশীলতা: বৃষ্টির দিনে বা ঝড়-বৃষ্টিতে সিগন্যাল ড্রপ করতে পারে বা গতি কমে যেতে পারে। খরচ: প্রাথমিক খরচ তুলনামূলক বেশি, যেমন ডিশ, মডেম ও সাবস্ক্রিপশন চার্জ।

ভারতে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও প্রতিযোগিতা: Starlink ছাড়াও OneWeb, Amazon Kuiper-এর মতো আরও কিছু কোম্পানি ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করছে। তবে কিছু টেলিফোন সংস্থা এই পরিষেবাকে ব্যবসার দিক থেকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে এবং তারা চাইছে এটি কঠোর নিয়ন্ত্রক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হোক। যদিও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।