এসি-র ধরন:
উইন্ডো এসি: এক্ষেত্রে তেমন জটিলতা নেই। আর ইনস্টলেশনের জন্য খুব একটা বেশি জায়গাও লাগে না। ভাড়া বাড়ির জন্য একেবারে আদর্শ। তবে দেখতে সুন্দর নয় আর আওয়াজও হয় বেশি।
স্প্লিট এসি: দ্রুত ঠান্ডা করে ঘর। বাতাসের প্রবাহও ভাল থাকে। দামী এবং ইনস্টল ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বেশ হ্যাপা রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- মারুতি স্যুইফটের থেকেও কম দাম! শহরে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে বিলাসী এই গাড়ি
পোর্টেবল এসি: এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বিশেষ করে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া যায়। ছোট জায়গার জন্য আদর্শ। কিন্তু একটু বেশিই আওয়াজ করে।
এসি-র ক্ষমতা: এসি যাতে কার্যকর ভাবে কাজ করতে পারে, তার জন্য সঠিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন এসি কেনা উচিত। ঘরের মাপের উপর এই টনের হিসেব নির্ভর করে। যেমন- ছোট বেডরুমের জন্য ১ টনের একটি এসি-ই যথেষ্ট। আবার তার থেকে আর একটু বড় ঘরের জন্য কিনতে হবে ১.৫ টনের এসি। আর হলের জন্য ২ টনের এসি লাগবে। ক্যাপাসিটি কিংবা ক্ষমতা মাপা হয় বিটিইউ এককের মাধ্যমে। ঘর যত বড় হবে, তত বেশি বিটিইউ রেটিং প্রয়োজন।
স্টার-রেটিং সিস্টেম: স্টার রেটিং সিস্টেম হল বৈদ্যুতিক অ্যাপ্লায়েন্সের এনার্জি এফিসিয়েন্সি। ১ থেকে ৫ পর্যন্ত এই রেটিং দেওয়া হয়। স্টার যত বেশি হবে, ঠান্ডা করার ক্ষমতাও তত বেশি হবে। সেই সঙ্গে এনার্জিও বাঁচবে। তাই ৫-স্টার এসি কেনা উচিত।
ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসি: আসলে এসি-তে এই দুই ধরনের টেকনোলজি দেখা যায়। ইনভার্টার এসি-র ক্ষেত্রে কম এনার্জিতেই কাজ হয়। ফলে দামও হয় বেশি। আর ডুয়াল ইনভার্টার এসি হলে তো কথাই নেই। এক্ষেত্রে দুর্দান্ত ঠান্ডা হবে। সেই সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড ইনভার্টার এসি-র তুলনায় এনার্জি এফিসিয়েন্টও বটে।
সার্ভিসিং: ভাল জনপ্রিয় ব্র্যান্ডেরই এসি কেনা উচিত। এর জন্য বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়দের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। কোন সংস্থার এসি ভাল, তাঁদের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সার্ভিসের মান কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন রকম হতে পারে।