TRENDING:

Wriddhiman Saha : সিএবি-ঋদ্ধিমান বিতর্ক, বাংলা ছাড়তে চান! অভিষেক ডালমিয়ার কাছে ফোন করে চাইলেন এনওসি

Last Updated:

Wriddhiman Saha furious over CAB officials for not informing him about Ranji inclusion. ক্রিকেট কর্তাদের অদ্ভুত ব্যবহারে চটেছেন ঋদ্ধিমান! ছাড়তে পারেন বাংলা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: যত রঙ্গ বঙ্গ ক্রিকেটে। বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সিএবির। রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য দল নির্বাচন। এই নির্বিষ ঘটনাকেও বিগ ব্রেকিং করে ছাড়লেন সিএবি কর্তারা। সত্যজিৎ রায়ের জটায়ু থাকলে হয়তো সিএবি কে নিয়ে লিখতেন যত কান্ড সিএবিতে। ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কথা না বলেই তাকে দলে রাখা নিয়ে বিতর্ক। তবে এটা বিতর্কই হতো না যদি কয়েক মাস আগে সিএবি যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধিমানের ক্রিকেট কমিটমেন্ট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন না তুলে দিতেন।
বাংলা ক্রিকেটে এবার সিএবি বনাম ঋদ্ধিমান
বাংলা ক্রিকেটে এবার সিএবি বনাম ঋদ্ধিমান
advertisement

আরও পড়ুন - ATK Mohun Bagan vs Gokulam : এশিয়া সেরার লড়াইয়ে গোকুলামকে হারানোর প্রস্তুতি শেষ মোহনবাগানের

ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার বার্তা পেয়ে ঋদ্ধি সিএবি সভাপতিকে দেখা করে জানিয়েছিলেন তিনি চলতি মরসুমে রঞ্জি খেলতে চান না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্যক্তিগত কারনের পাশাপাশি যুক্তি ছিল যেহেতু তিনি ভারতীয় টেস্ট দলে আর সুযোগ না পাওয়ার বিষয়টি শুনেছেন তাই জুনিয়রদের সুযোগ দেওয়া হোক বাংলায়।

advertisement

তারপরই আচমকা রঞ্জি গ্রুপ পর্যায়ে ঋদ্ধি না খেলা নিয়ে তার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সিএবি যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। বিভিন্ন অজুহাতে নাকি ঋদ্ধি বাংলার হয়ে খেলতে চাইতেন না বলে দাবি করেন দেবব্রত বাবু। এমনকি বাংলা ক্রিকেটের ঋদ্ধিমানের কী অবদান আছে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন?

তারপর থেকেই অপমানিত বোধ করছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি এই বিষয় নিয়ে মর্মাহত বলে জানিয়েছিলেন। ১৫-১৬ বছর বাংলার হয়ে ক্রিকেট খেলার পর এই রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে চূড়ান্ত হতাশ ঋদ্ধিমান। এমনকি পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঋদ্ধির কাছে অ্যাপোলজি কিংবা যোগাযোগও করা হয়নি।

advertisement

এরপর থেকে সিএবি সিএবি সঙ্গে ঋদ্ধিমান সাহার বিতর্ক কিছুতেই মিটছে না। এর মধ্যেই সোমবার ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কথা না বলেই রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার-ফাইনালে ঋদ্ধিকে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। সূত্রের খবর গতকাল মহম্মদ সামিকে নির্বাচনী বৈঠক থেকে ফোন করা হলেও ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এই ঘটনাতেও তিনি অপমানিত বোধ করেছেন বলে খবর।

advertisement

সব মিলিয়ে এতটাই ক্ষুব্দ ঋদ্ধি সেই ব্যক্তি ক্ষমা না চাইলে তিনি বাংলার হয়ে খেলতে রাজি নন। মঙ্গলবার সিএবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। অভিমানের সুরে তিনি বলেন বিতর্কিত ঘটনা না মিটলে প্রয়োজনে বাংলা ছেড়ে দিতে পারেন। টেলিফোনে এনওসি অর্থাৎ বাংলা ছেড়ে ভিন রাজ্যের খেলার ছাড়পত্র চান। অভিষেক ডালমিয়া তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন বলে খবর।

advertisement

যদিও লিখিত কোনো আবেদন করেননি ঋদ্ধিমান।সিএবির দাবি, ঋদ্ধি নিয়ে যুগ্ম সচিবের বক্তব্যের দায়ভার তারা নিতে নারাজ। সেটা দেবব্রত দাসের ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে দাবি করেন অভিষেক ডালমিয়া। বাংলা ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর পদে থাকা জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ঋদ্ধিমান এবং সামির নির্বাচনের বিষয়টি সিএবি কর্তারা দেখছেন বলে জানানো হয়েছিল তাদের।

সিএবি কর্তারা বলাতেই দুজনকে দলে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট। ঋদ্ধি সিএবি ফাটল বাড়লো। সব মিলিয়ে সিএবি কর্তারা যদি একটু দায়বদ্ধতা দেখাতেন একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রতি। তাহলে হয়তো এই দিনটা আসতই না।

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
Wriddhiman Saha : সিএবি-ঋদ্ধিমান বিতর্ক, বাংলা ছাড়তে চান! অভিষেক ডালমিয়ার কাছে ফোন করে চাইলেন এনওসি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল