ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার বার্তা পেয়ে ঋদ্ধি সিএবি সভাপতিকে দেখা করে জানিয়েছিলেন তিনি চলতি মরসুমে রঞ্জি খেলতে চান না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ব্যক্তিগত কারনের পাশাপাশি যুক্তি ছিল যেহেতু তিনি ভারতীয় টেস্ট দলে আর সুযোগ না পাওয়ার বিষয়টি শুনেছেন তাই জুনিয়রদের সুযোগ দেওয়া হোক বাংলায়।
advertisement
তারপরই আচমকা রঞ্জি গ্রুপ পর্যায়ে ঋদ্ধি না খেলা নিয়ে তার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সিএবি যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস। বিভিন্ন অজুহাতে নাকি ঋদ্ধি বাংলার হয়ে খেলতে চাইতেন না বলে দাবি করেন দেবব্রত বাবু। এমনকি বাংলা ক্রিকেটের ঋদ্ধিমানের কী অবদান আছে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন?
তারপর থেকেই অপমানিত বোধ করছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি এই বিষয় নিয়ে মর্মাহত বলে জানিয়েছিলেন। ১৫-১৬ বছর বাংলার হয়ে ক্রিকেট খেলার পর এই রকম প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে চূড়ান্ত হতাশ ঋদ্ধিমান। এমনকি পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ঋদ্ধির কাছে অ্যাপোলজি কিংবা যোগাযোগও করা হয়নি।
এরপর থেকে সিএবি সিএবি সঙ্গে ঋদ্ধিমান সাহার বিতর্ক কিছুতেই মিটছে না। এর মধ্যেই সোমবার ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে কথা না বলেই রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার-ফাইনালে ঋদ্ধিকে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। সূত্রের খবর গতকাল মহম্মদ সামিকে নির্বাচনী বৈঠক থেকে ফোন করা হলেও ঋদ্ধিমান সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এই ঘটনাতেও তিনি অপমানিত বোধ করেছেন বলে খবর।
সব মিলিয়ে এতটাই ক্ষুব্দ ঋদ্ধি সেই ব্যক্তি ক্ষমা না চাইলে তিনি বাংলার হয়ে খেলতে রাজি নন। মঙ্গলবার সিএবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। অভিমানের সুরে তিনি বলেন বিতর্কিত ঘটনা না মিটলে প্রয়োজনে বাংলা ছেড়ে দিতে পারেন। টেলিফোনে এনওসি অর্থাৎ বাংলা ছেড়ে ভিন রাজ্যের খেলার ছাড়পত্র চান। অভিষেক ডালমিয়া তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন বলে খবর।
যদিও লিখিত কোনো আবেদন করেননি ঋদ্ধিমান।সিএবির দাবি, ঋদ্ধি নিয়ে যুগ্ম সচিবের বক্তব্যের দায়ভার তারা নিতে নারাজ। সেটা দেবব্রত দাসের ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে দাবি করেন অভিষেক ডালমিয়া। বাংলা ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর পদে থাকা জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ঋদ্ধিমান এবং সামির নির্বাচনের বিষয়টি সিএবি কর্তারা দেখছেন বলে জানানো হয়েছিল তাদের।
সিএবি কর্তারা বলাতেই দুজনকে দলে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট। ঋদ্ধি সিএবি ফাটল বাড়লো। সব মিলিয়ে সিএবি কর্তারা যদি একটু দায়বদ্ধতা দেখাতেন একজন সিনিয়র ক্রিকেটারের প্রতি। তাহলে হয়তো এই দিনটা আসতই না।