ছেলে বেলা: ২০০৩ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর জন্ম রিচা ঘোষের। ছোট বেলা থেেকেই ক্রিকেট অন্ত প্রাণ। বাবা মানবেন্দ্র রায় ক্লাব পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছেন। তাই ক্রিকেট রক্তে ছিল রিচার। মাত্র চার বছর বয়সে ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচয় রিচার। আর পাঁচটা শিশুর মতো পাড়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে ক্রিকেট খেলত রিচা। খেলার প্রতি মেয়ের আগ্রহ দেখে বাঘাযতীন অ্যাথলেটিক ক্লাবে প্রশিক্ষণ দিতে নিয়ে যান বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ। নিজে ক্রিকেট খেলতেন বলে মেয়ের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিয়েছেন। যার ফলও মিলেছে অল্প সময়েই।
advertisement
ঘরোয়া ক্রিকেট জীবন: ২০১৬ সালে রাজ্য দলে সুযোগ পেয়েছিল রিচা। সেখানে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিল অনেকবার। সেই বছরই বাংলা দলের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ এবং অনূর্ধ্ব ২৩ চ্যালেঞ্জার ট্রফি খেলেছিল। পরে একে একে টি টোয়েন্টি এবং এক দিনের খেলায় অনেকবার ব্যাট হাতে ম্যাচ জিতিয়েছে। মূলত অলরাউন্ডার হলেও এখন ব্যাটসম্যান হিসাবেই খেলছে রিচা। ২০১৯ সালে বাংলা সিনিয়র দলের হয়ে টি টোয়েন্টিতেও ভাল খেলেছিল। মহিলাদের সিনিয়র টি টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জার্স ট্রফিতে ভারতীয় বি দলের হয়ে ভালো পারফর্ম করেন রিচা। সেখানেই তার খেলা নজর কেড়েছিল নির্বাচকদের।
আন্তর্জাতিক কেরিয়ার: ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ২০২০ সালের আইসিসি মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলে জায়গা পান রিচা ঘোষ। স্বপ্নপূরণ হয় রিচা ও তার পরিবারের। এক মাসের মধ্যেই ২০২ সালে অস্ট্রেলিয়া মহিলা ত্রি-দেশীয় সিরিজের জন্য ভারতের স্কোয়াডেও স্থান পান। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাই সিরিজের ফাইনালে অভিষেক হয় রিচার। এরপর একদিনের ক্রিকেটেও অভিষেক হয় রিচার। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি শিলিগুড়ির মেয়েকে।
আরও পড়ুনঃ 'ভাই-বোনের' ১১ বছরের প্রেম, বাড়িতেই চলত সঙ্গম, গর্ভবতী হওয়ার পর কী করেছিলেন এই রেসার
এখনও পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটে মোট ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন রিচা ঘোষ। ২২ গড়ে মোট ৩১১ রান করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ২টি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ স্কোর ৬৫। অপরদিকে, টি-২০ ক্রিকেটে ২৯টি ম্যাচে ২২ গড়ে ৪২৭ রান করেছেন রিচা। সর্বোচ্চ স্কোর ৪৪। রিচা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তিনি কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেখে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন। মাহির মতো দলে ম্যাচ ফিনিশারের ভূমিকা পালন করতে চান তিনি। প্রথম মহিলা আইপিএলে কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেন রিচা সেদিকেই নজর সকলের।