২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিতে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে, বারবার বড় মঞ্চে নামলেই ধুঁকতে থাকে প্রোটিয়া দল। অনেকে মজা করে বলেন, কোনও এক অজানা অভিশাপ তাড়া করে তাদের।
আরও পড়ুন- অনুষ্কার পোশাক নজর কাড়ল সবার! কত দাম এই জামার? সাধ্যের মধ্যেই কিন্তু
advertisement
বৃহস্পতিবার ইডেনে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে নেমেও একই অবস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার। ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে তারা। এর পর ক্লাসেন ও মিলার দায়িত্ব নেন। তবে ক্লাসেন ৪৭ রান করে আউট হন। আপাতত সব দায়িত্ব মিলারে কাঁধে। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।
আপাতত ১২৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন কুইন্টন ডি কক রান পাননি। খাতাই খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন টেম্বা বাভুমা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে শুরু থেকেই আগুনে স্পেল করেন অজি পেসাররা।
টসে জিতে ব্যাটিং নেন টেম্বা। অনেকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন। কারণ, কলকাতায় এখন নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এমনিতেই মেঘলা আকাশ। এমন পরিস্থিতিতে শুরুতেই পেসারদের খেলাটা বেশ চাপের।
আরও পড়ুন- ‘‘মেয়ে ও আমি কেউই ক্রিকেট খেলা দেখি না’’শামির পারফম্যান্সের পর হাসিনের নয়া বোম
১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালের মত হৃদয় বিদারক ম্যাচ ক্রিকেট ইতিহাসে খুব কম হয়েছে। ল্যান্স ক্লুজনারের সেই অতিমানবীয় ইনিংস, হারা জায়গা থেকে দলকে জেতার মুখে নিয়ে আসা, অস্ট্রেলিয়ার সমান স্কোর করেও লাস্ট উইকেটে অ্যালান ডোনাল্ডের রান আউট, অনেকেই এখনও ভুলতে পারেনি।
আরও একবার সেই সেমিফাইনাল। সেই অস্ট্রেলিয়া তাদের সামনে। এবার কী হবে! এখনই অবশ্য বলা মুশকিল।