বৃহস্পতিবার বিকেলের পর এই দুটি প্রশ্নের উত্তরের কিছুটা আভাস পাওয়া গেল। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে আইসিসিতে সৌরভের যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত ফিকে হয়ে গিয়েছে। এই দেওয়াল লিখনটা সৌরভ নিজেও পড়ে ফেলেছেন বলেই খবর। সৌরভ এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু না বলতে চাইলেও ঘনিষ্ঠমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে সৌরভ বুঝতে পেরেছেন জয় শাহদের পছন্দের তালিকায় নেই তিনি। আইসিসিতে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে সম্ভাব্য নাম উঠে আসছে ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের। তাই সব অঙ্ক বিচার করে সৌরভও আইসিসির আশা ছাড়ছেন বলেই খবর। তবে ১৮ তারিখ বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। যদি পাশা বদলায়।
advertisement
আরও পড়ুন- সৌরভকে সরিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে বসতে চলা রজার বিনিকে নিয়ে কী বললেন দাদা?
তবে শেষ পর্যন্ত আইসিসিতে না গেলেও ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে সৌরভকে দেখতে পাওয়া সম্ভাবনা ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। জোর জল্পনা, সিএবি নির্বাচনে লড়তে পারেন সৌরভ। সুপ্রিম কোর্টের নয়া রায় অনুযায়ী সৌরভের আরও তিন বছর সিএবি পদে থাকতে সমস্যা নেই বর্তমান সময় থেকে। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে বলা হয়েছে, রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষপদ মিলিয়ে কোন ব্যক্তি এক টানা ১২ বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন। ফলে সিএবিতে সাড়ে পাঁচ বছর এবং বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিন বছর মেয়াদ পূর্ণ করা সৌরভের হাতে এখনও সাড়ে তিন বছর সময় রয়েছে। ফলে সিএবিতে প্রশাসক হিসেবে বসতে সৌরভের কোনও সমস্যা নেই।
মহারাজ এখনই সিএবিতে বসবেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে সামনে আসছে বৃহস্পতিবার বিকেলে সিএবিতে সৌরভের উপস্থিতির কথা। সিএবি সূত্রে খবর, লক্ষ্মীবারের বিকেলে সৌরভ ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, বিরোধী শিবিরের থেকে সিএবি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হলে প্রয়োজনে তিনি লড়াইয়ে নামবেন। আসলে এই মুহূর্তে সিএবি বার্ষিক সাধারণ সভার আগে বিরোধী শক্তিও ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে নির্বাচনে লড়ার বিষয়টি নিয়ে। দাদা ভোটে দাঁড়ালে শাসক শিবিরের জয়ের সম্ভাবনা অনেকটা বাড়বে বলে মনে করছেন বর্তমান শাসক শিবিরের লোকজন।
সৌরভ শেষ পর্যন্ত ভোটে দাঁড়ালে প্রেসিডেন্ট পদের জন্যই লড়বেন বলে খবর। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট পদে কার্যত পা বাড়িয়ে রাখা সৌরভের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় কোন আসনে ভোটে দাঁড়াবেন সেটা লক্ষণীয় হতে চলেছে। তবে সৌরভের দাঁড়ানোর বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয় বলেই খবর। যদি সর্বসম্মতভাবে একটি প্যানেল জমা পড়ে সে ক্ষেত্রে সৌরভ নাও দাঁড়াতে পারেন।
৩১ অক্টোবর সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২২ অক্টোবর। ততদিনে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা হয়ে যাবে। ১৮ অক্টোবরই স্পষ্ট হয়ে যাবে, আইসিসি-তে সৌরভকে আদৌ পাঠানো হবে কী না। তারপরই সম্ভবত সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন সৌরভ।