ওই ম্যাচে ভারতের একাদশে ছিলেন: অভিষেক শর্মা, শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব (অধিনায়ক), তিলক ভার্মা, সঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ এবং বরুণ চক্রবর্তী। এই একাদশের প্রত্যেকে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করেছেন নিখুঁতভাবে। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই দলেই আস্থা রাখার সম্ভাবনাই বেশি।
ভারতের এই একাদশে ভারসাম্য ছিল চোখে পড়ার মতো। ওপেনাররা দ্রুত রান তুলতে পারে, মিডল অর্ডারে আছে অভিজ্ঞ ফিনিশার, আর অলরাউন্ডারদের উপস্থিতি দলকে গভীরতা দেয়। বোলিং ইউনিটেও ছিল বৈচিত্র্য — পেস, অফ স্পিন, বাঁহাতি স্পিন এবং মিস্ট্রি স্পিন সবই ছিল দলে। এই কৌশলগত ভারসাম্যই ভারতকে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে আরও প্রস্তুত করে তোলে।
advertisement
তবে পাকিস্তান, ইউএই’র চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী দল। তাদের ব্যাটিং লাইনআপ ও বোলিং আক্রমণে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার মত একাধিক ক্রিকেটার রয়েছে। বিশেষ করে, যদি দুবাইয়ের পিচে শুরুতে সিম মুভমেন্ট থাকে বা শিশির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাহলে ভারত বাড়তি পেসার নেওয়ার কথা ভাবতে পারে। অর্শদীপ সিং বা হর্ষিত রানা দলে ঢুকতে পারেন শিবম দুবে বা বরুণ চক্রবর্তীর জায়গায়।
জসপ্রীত বুমরাহ দলের মূল পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দেবেন। যিনি প্রথম ম্যাচেই প্রমাণ করেছেন কেন তিনি বিশ্বসেরা। অন্যদিকে, শিবম দুবের বল হাতে সফল হওয়াও তার দবে জায়গা ধরে রাখার একটি বড় কারণ। ফলে, টিম ম্যানেজমেন্ট হয়তো বোলিং বিকল্পের দিকেই তাকাবে, যদি কন্ডিশন পরিবর্তন হয়।
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK: পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের জয়ের পথে ৫ বিপদ! একটু এদিক-ওদিক হলেই সব শেষ! জেনে নিন বিস্তারিত
সবমিলিয়ে, ভারতের প্রথম ম্যাচের সফল একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। দল ভালো খেললে তা অক্ষুণ্ন রাখাই দলের মনোবলের জন্য ইতিবাচক। তবে কন্ডিশনের ভিত্তিতে ছোটখাটো পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে একই একাদশ দেখা গেলেও, কৌশলগত টুইস্ট একেবারে অস্বাভাবিক হবে না।