সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আউট অফ দ্য গেম। এমনই বলছেন অনেকে। কেউ কেউ অবশ্য বুক বাজিয়ে বলছেন, নামটা মনে রাখবেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শেষ বলে খেলা ঘুরে যাবে। খেলা শেষ বলে ঘুরতেই পারে। কিন্তু আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে সৌরভ অনেকটাই ব্যাকফুটে। বোর্ডের সিংহাসন খুইয়েছেন।
আরও পড়ুন- চিন্তা কিছুতেই কমছে না রোহিত শর্মার, টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন আরও এক পেসার
advertisement
অনেককেই হয়তো এখন একটা প্রশ্ন ভাবাচ্ছে। সৌরভের বদলে কেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট রজার বিনি! ধারে-ভারে, মাঠের গরিমা, মাঠের বাইরের ক্যারিশ্মায় সৌরভের সঙ্গে কোনও তুলনাই চলে না বিনির। তবুও কেন সৌরভের রিপ্লেসেমেন্ট তিনি! সৌরভের থেকে কেড়ে নেওয়া চেয়ারে তো আরামসে বসানো যেত জয় শাহকে!
অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ এখন বোর্ডের সচিব। 'খেলা' গড়াচ্ছে যাঁদের অঙ্গুলিহেলনে, তাঁরা তো চাইলে অনায়াসে জয় শাহকেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট করতে পারতেন! কিন্তু তেমনটা যে হবে না, তার ইঙ্গিত স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে নরেন্দ্র মোদি দিয়ে রেখেছিলেন।
সেদিন মোদি সাফ বলেছিলেন, দেশের অনেক সংস্থায় স্বজনপোষণ, পরিবারতন্ত্রের প্রচ্ছন্ন ছায়া রয়েছে। এই পরিবারতন্ত্র আগে নির্মূল করতে হবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা সেদিন ভেবেছিলেন, মোদি হয়তো গান্ধী পরিবারের দিকে ইঙ্গিত করছেন। আসলে মোদির নিশানায় ছিল অনেক সংস্থা। বিসিসিআই-ও!
জয় শাহকে সচিব পদ থেকে সভাপতি করা হলে কথার দাম থাকত না প্রধানমন্ত্রীর। তিনি নিজেই পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতা করছেন, আবার তাঁর পার্টিরই নেতার পুত্র কী করে দেশের ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি! এই প্রশ্ন করতেন অনেকে। সেই প্রশ্ন করার আর সুযোগ রইল না। আবার জয় শাহকে সচিব হিসেবে বিসিসিআই-তে রাখাও গেল। ফলে একূল-ওকূল, দুদিকই বাঁচল।
আরও পড়ুন- আগুনে জেদ নিয়ে এবার অস্ট্রেলিয়ায় নামবে শামি, দাবি ছোটবেলার কোচের
জানা গিয়েছে, রজার বিনি এই পদের জন্য খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। কারণ, তিনি নিজের শহর বেঙ্গালুরু ছেড়ে বাইরে গিয়ে আর কাজ করতে চান না। তাও এই বয়সে। তবে শেষমেশ রাজি হলেন তিনি। রজার বিনি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য। তাঁর ভাবমূর্তি স্বচ্ছ। আবার তিনি খুব বেশি বিরোধিতা করার মতো চরিত্রও নন। ফলে তিনিই যে বোর্ড সভাপতি পদের যোগ্য দাবিদার, তা এই পরিস্থিতিতে মেনে নেওয়াই যায়।