বুধ এবং বৃহস্পতিবার সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটদের আন্দোলনের সমর্থনে পথে নেমেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই পদক্ষেপে পা মিলিয়েছে রাজ্যের ক্রীড়া সংস্থা এবং ক্রীড়াবিদরা। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নথিভুক্ত ৩৬টি ক্রীড়া সংস্থা গত দু’দিন ধরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদের সমর্থনে পা মিলিয়েছে। হাজরা থেকে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত হাঁটা এবং তার ২৪ ঘণ্টা পরে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশ থেকে গান্ধি মুর্তি পর্যন্ত মোমবাতি মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বাংলার ক্রীড়াজগত। কিন্তু সবাই থাকলেও গত দু’দিনের কর্মসূচিতে ছিল না রাজ্য ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা সিএবি। বিষয়টি নজর এড়ায়নি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রক এবং ক্রীড়া সংস্থাগুলোর। তাহলে কি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল পাশে নেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। সমালোচনার ঢেউ যে উঠেছে তা ছুঁয়েছে রাজ্য ক্রিকেটের সদর দফতরে।
advertisement
আরও পড়ুন– বছরে মেলে মাত্র ১০-১২ দিন! এই ফলের ঔষধি গুণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন
মুখ্যমন্ত্রীর মোমবাতি মিছিল শুরু হয়েছিল গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশ থেকে। যেখান থেকে সিএবি ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে। তাহলে কেন মোমবাতি মিছিলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পা মেলালেন না সিএবি কর্তারা ৷ সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস জানিয়েছেন, ‘‘মোমবাতি মিছিল নিয়ে আমরা কোনও খবর পাইনি। কোনও ফোন বা মেইল আসেনি। তাই যাওয়া হয়নি। তা বলে সিএবি রাজ্য ক্রীড়ামন্ত্রকের পাশে নেই, এইরকম ভাবার কোনও কারণ নেই। ভবিষ্যতে আমরা যেকোনও কর্মসূচিতে আমরা অবশ্য যোগ দেব। ”
ক্রিকেট জগতের ব্যক্তিত্বরা সেভাবে কুস্তি বিতর্কে মুখ খোলেননি। তবে যে কয়েকজন বলেছেন তা সেটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি মনোভাবের মতো। ক্রিকেটারদের বৃহত্তর অংশের এই অবস্থান সমালোচনার মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় এই রাজ্যের কুস্তি বিতর্ক নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে সিএবির অবস্থানও সমালোচনার আতস কাচের তলায়।