‘মেসি গোট ইন্ডিয়া ট্যুর’ (GOAT India Tour 2025)-এর উদ্যোক্তা তিনি। মেসিকে একবার চোখের সামনে দেখার স্বপ্ন বুনেছিল বাঙালি। তবে সেই ইভেন্টে এমন কাণ্ড হল, তা কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে থাকল কলকাতার ফুটবল ইতিহাসে। মেসিকে দেখার একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিন। ফলে ক্ষোভ বাড়ে দর্শকদের মধ্যে।
মেসি ২০ মিনিট মাঠে ছিলেন। তারপর তাঁকে বার করে আনা হয়। মেসির সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগ করে নেওয়ার কথা ছিল বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের। থাকার কথা ছিল বাংলার আইকন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেউই আর আসতে পারেননি যুবভারতীতে।
advertisement
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন কে এই শতদ্রু দত্ত! তাঁর উত্থান কীভাবে! হুগলি জেলার রিষড়ায় বাড়ি শতদ্রু দত্তের। ক্রীড়া সংগঠক বা স্পোর্টস প্রমোটার তিনি। ফিনান্স এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাকগ্রাউন্ড তাঁর। একটা সময় একাধিক স্বনামধন্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তবে খেলাধূলার প্রতি তাঁর টান ছোট থেকেই।
খেলাধূলার প্রতি ভালবাসাকেই তিনি এর পর পেশা হিসেবে বেছে নেবেন বলে ঠিক করেন। এর আগে আর্জেন্টাইন গোলকিপার মার্টেনেজকে কলকাতায় এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার মেসি। তবে মেসি ইভেন্টে বিশৃঙ্খলার সমস্ত দায় এখন তাঁর কাঁধে। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে তিনি ফেসবুকে লিখেছিলেন- বদ্দাকে এনে আমার বিদায়…! ‘বদ্দা’ মানে সারা বিশ্বের আরেক ফুটবল আইকন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে সেটা কি আর হবে! মেসি ইভেন্টের ম্যাসাকার তাঁকে কার্যত অকাল অবসরে পাঠিয়ে দিল বলেই মনে করছেন অনেকে। এর আগে অবশ্য এই শতদ্রু দত্তই পেলে-মারাদোনা-কাফু ও এমিলিয়ানো মার্টিনেজের মতো তারকাদের কলকাতায় আনার উদ্যোগে শামিল ছিলেন। তবে এবার মেসি ইভেন্টে ঘটে গেল অনভিপ্রেত ঘটনা।
আরও পড়ুন- মেসির অনুষ্ঠানে ‘ম্যাসাকার’, মমতার তদন্ত কমিটি গঠনের পরেই গ্রেফতার শতদ্রু দত্ত
শ্রীরামপুরের হোলি হোম স্কুলে শতদ্রু দত্তের পড়াশোনা। অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে পেশা হিসাবে বেছে নেন ওয়েল্থ ম্যানেজমেন্ট এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং। ২০১১ সালে ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। শতদ্রু নিজে খেলোয়াড় হতে চেয়েছিলেন। সেটা পারেননি। তাঁর একমাত্র পুত্রসন্তানের নাম ‘দিয়েগো’। ছেলেকে ফুটবলার হিসেবে গড়ে তুলতে চান। দিয়েগো বিদেশে একটি নামী অ্যাকাডেমিতে ফুটবল প্র্যাকটিস করে। ছোটবেলায় কিন্তু শতদ্রু দত্তের টান ছিল ক্রিকেটে। পরে তিনি তারকা ফুটবলারদের ভারতের মাটিতে নিয়ে আসার ব্যাপারে উদ্যোগী হন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাফল্যও পান।
