তিনি লেখেন, স্বপ্নের কাছাকাছি এসেও স্পর্শ করতে পারলাম না। অধরাই রইল বিশ্বকাপ। ভগ্নহৃদয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ছাড়ছি আমরা। তবে পুরোটাই ব্যর্থতা নয়। অনেক উজ্জ্বল মুহূর্ত এসেছে এবং দল হিসেবে আমরা কিছু পজিটিভ দিক দেখতে পেয়েছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এখান থেকে আরও উন্নত টিম হিসেবে কামব্যাক করতে পারব।
আরও পড়ুন - বিশ্বের ২ নম্বর দল ! বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের বিশ্বজয়ের এটাই শেষ সুযোগ কাতারে
advertisement
কোহলির এই পোস্ট দেখে একাধিক মন্তব্য করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কেউ তার প্রশংসা করেছেন, কেউ ভরিয়ে দিয়েছেন সমালোচনায়। কেউ লিখেছেন একমাত্র আপনি এবং সূর্য কুমার ছাড়া কেউ খেলতে পারেনি টুর্নামেন্টে। কেউ লিখেছেন সেমিফাইনালে আপনি স্বার্থপর ব্যাটিং করেছেন। ৪০ বলে ৫০ নিয়ে গর্বিত হতে পারছি না। সেসবের উত্তর অবশ্য বিরাট দেননি।
তবে এটা ঠিক বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে তার অত্যন্ত খারাপ ফর্ম এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাটিয়ে উঠেছেন বিরাট কোহলি। কিন্তু বাকি সকলের মত তিনিও আশা করেছিলেন ভারত চ্যাম্পিয়ন হবে। নিজের দিক থেকে চেষ্টা করেছেন পারফর্ম করার। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হয়নি ভারত। মোক্ষম সময় আবার চাপ সামলাতে ব্যর্থ মেন ইন ব্লু।
কেন বারবার প্রতিবার আইসিসি টুর্নামেন্টে এমন ব্যর্থতা উত্তর খুঁজে চলেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কদিন পর থেকেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে ভারত। তারপর আইপিএল নিয়ে আবার মাতামাতি শুরু হবে। কোটি কোটি টাকা উড়বে। মালামাল হবেন ক্রিকেটাররা।
কেউ মনে রাখবে না এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার গল্প। আবার ঈশ্বরের রূপে গণ্য করা হবে ক্রিকেটারদের। হিসেবের বাইরে চলে যাবে দেশের জার্সিতে পাওয়া ব্যর্থতা। বিরাট কোহলি সোশ্যাল মিডিয়ায় যতই প্রাপ্তির গল্প বলুন, সমর্থকরা কিন্তু এই ব্যর্থতা সহজে ভুলবেন না।