গত জুনে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মর্মান্তিক স্ট্যাম্পেডে ১১ জন প্রাণ হারানোর পর থেকেই ভেন্যুটিকে ঘিরে বিতর্ক তীব্র হয়। ঘটনার তদন্তে বিচারপতি জন মাইকেল ডি’কুনহা নেতৃত্বাধীন স্বাধীন কমিশন স্টেডিয়ামটিকে বৃহৎ ইভেন্ট আয়োজনের জন্য “মৌলিকভাবে অনিরাপদ” বলে ঘোষণা করে। কমিশনের মতে, এখানে বড় ম্যাচ আয়োজন করলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, জরুরি প্রতিক্রিয়া এবং শহরের যান চলাচল ব্যবস্থায় ঝুঁকি তৈরি হয়, যা জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।
advertisement
এই প্রতিবেদনের পর বিসিসিআইও কঠোর অবস্থানে যায়। মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি বেঙ্গালুরু থেকে সরিয়ে নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। একইভাবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হতে চলা পুরুষদের টি২০ বিশ্বকাপেও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে কোনো ম্যাচ দেওয়া হয়নি। ফলে দীর্ঘদিনের জনপ্রিয় ক্রিকেট ভেন্যুটি কার্যত আন্তর্জাতিক ও বড় ঘরোয়া ম্যাচ আয়োজন থেকে বাদের তালিকায় পড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ Virat Kohli: এবার মুখ খুললেন কোহলি! জানিয়ে দিলেন টেস্টে তিনি ফিরবেন কিনা, কী জানালেন বিরাট
আইপিএলের শুরুর পর থেকেই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠ হিসেবে পরিচিত। দর্শকবান্ধব পরিবেশের জন্য এটি ভারতের অন্যতম সেরা ভেন্যু হিসেবে খ্যাত। তবে ২০২৬ সালের আইপিএল ফিরতে হলে স্টেডিয়ামটিকে স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সার্টিফিকেট পেতেই হবে—এমনটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এখন পরীক্ষার ফলের ওপরই নির্ভর করছে আরসিবির ঘরের মাঠে ক্রিকেট ফিরবে কি না।
