ঠিক তার পরেই নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজিরও নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা করেন বিরাট। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের জন্য দল নির্বাচনের সময় তাকে একদিনের দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজের পর কোহলি নিজে টেস্ট দলের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। ' দ্য আর সি বি পোডকাস্ট' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অধিনায়কত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে বিরাট জানান, আমি এরকম মানুষ নই যে প্রয়োজন না থাকলেও পদ আঁকড়ে থাকবো। আমি যদি মনেও করি যে আমি আরো বেশি কিছু করতে পারি, আমি যেটা করছি তা যদি উপভোগ না করি, আমি সেটা করবো না।
advertisement
বিরাট মনে করেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা বোঝা খুবই কঠিন একজন ক্রিকেটার যখন এধরণের কঠিন সিদ্ধান্ত নেন, তার মনের মধ্যে কি চলে। কোহলির বক্তব্য, কোনো মানুষ এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি বুঝবে না, যদি না কেউ এরকম পরিস্থিতিতে পড়েন। বাইরে থেকে দেখলে মানুষের অনেক কিছু প্রত্যাশা থাকে, ' ওহ ! কি করে এটা হল ? আমরা খুব আঘাত পেলাম' ।এখানে আঘাত পাওয়ার কিছু নেই , আমি আমার অবস্থান সবাইকে ব্যাখ্যা করেছি।
আমি নিজের জন্য একটু পরিসর চেয়েছিলাম, আমি আমার দায়িত্বভার একটু ভালো ভাবে ম্যানেজ করতে চেয়েছিলাম। ব্যাস এটাই আমার বক্তব্য। তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে যাবতীয় আলোচনাকে উপেক্ষা করে কোহলির বক্তব্য, কিছুই হয়নি। আমি খুব সরল ও মৌলিক ভাবে জীবন যাপন করি। আমি যখন একটা সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলাম, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ও তা সর্বসমক্ষে ঘোষণা করেছি।
তার কাছে ক্রিকেটের প্রতিটা ম্যাচে তিনি কেমন প্রদর্শন করতে পারছেন সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোহলির বক্তব্য, " তুমি চাও একই ভাবে প্রত্যেক দিন চলুক, তুমি যতদিন পারো একইভাবে চালিয়ে যেতে চাইবে। কিন্তু দিনের শেষে তোমায় বুঝতে হবে, কতগুলো ম্যাচ খেললাম তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো ম্যাচে আমি আমার ছাপ রেখে যেতে পারলাম।"