বিরাটকে টি টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু তিনি আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব ছাড়বেন। সেটাই করেন। বিসিসিআই এবং টেকনিক্যাল কমিটির লোকজন মিলে তখন সিদ্ধান্ত নেন, সাদা বলের দুটি আলাদা ফরম্যাটে দুজন আলাদা অধিনায়ক ঠিক হবে না রাখা। তার থেকে বিরাটকে শুধু টেস্টের অধিনায়ক রেখে দেওয়া হোক।
advertisement
বোর্ড সভাপতি হিসেবে সৌরভ নিজে কথা বলেছেন বিরাটের সঙ্গে। চেয়ারম্যান অফ সিলেক্টর (Chairman of Selectors Chetan Sharma) চেতন শর্মাও কথা বলেন ক্যাপ্টেন কোহলির সঙ্গে। ভারতীয় বোর্ডের তরফ থেকে দেরিতে হলেও বিরাটের অবদানের কথা মাথায় রেখে সম্মান জানানো হয়েছে। একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে যে ৯৫ ম্যাচে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারমধ্যে ৬৫ ম্যাচে জিতেছে ভারত। ৭০ শতাংশ সাফল্য।
আজাহার, সৌরভ, মহেন্দ্র সিং ধোনির চেয়ে বেশি। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি বিরাট। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিলেন। ২০১৯ একদিনের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মাটিতে সেমিফাইনালের হারেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। যা রটে, তার কিছু তো বটে! সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পিছনে অনেকে দলের অন্দরের ‘প্রো-কোহলি নো-কোহলি’-র ঠান্ডা লড়াইকে দেখছেন।
আগামী বছরের শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২৩ সালে এক দিনের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ (2023 ODI World Cup)। ভারতীয় ক্রিকেটের হালচাল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল একাংশ মনে করছে, স্বাভাবিক ভাবেই বোর্ড চাইছে, দুই বিশ্বকাপের আগে দলের অন্দরে যাবতীয় চোরাস্রোত যেন বন্ধ হয়ে যায়। তাই এখন থেকেই কড়া পদক্ষেপ নিয়ে রাখলেন সৌরভ-জয়রা।
অনেকে নাকি বোর্ডের কাছে বিরাট কোহলির ড্রেসিংরুমে খারাপ ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন অতীতে। এমনকি কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকার শুধু মুখে নাম না নিয়ে, ইংল্যান্ড সফরে অশ্বিনকে বসিয়ে রাখার জন্য দায়ী করেছিলেন কোহলিকে। তাই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ আসছিল। তাছাড়া রোহিত যোগ্য নেতা। সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বারবার। বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত তাই সহজেই অনুমেয়।