সেখানে ছিলেন শাহরুখ খান। ছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। ছিলেন দিশা পাটানি এবং করণ আউজলা আর সঞ্চালক হিসেবে শাহরুখ খান পুরো বিষয়টিকে এক জমকালো আয়োজন করে দেন৷ কলকাতার আইকনিক ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএল ২০২৫ উদ্বোধনের জন্য উপযুক্ত উদযাপন। ওপেনিং অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বিনোদনমূলক মুহূর্ত তৈরি হয় যখন শাহরুখ খান কেকেআরের রিঙ্কু সিং এবং আরসিবি-র বিরাট কোহলিকে স্টেজে নাচ করান৷
advertisement
শাহরুখ প্রথমেই কোহলিকে ইন্ট্রোডিউস করেন৷ ইডেনের গ্যালারি তারকা ক্রিকেটারের জন্য গলা ফাটায়৷ ‘কোহলি কোহলি’ স্লোগানের মধ্যেই রিঙ্কুকে তাদের সঙ্গে যোগ দিতে বলেন। রিঙ্কু যখন মঞ্চে ওঠেন, তখন তিনি তাঁর কেকেআর দলের মালিক শাহরুখের সঙ্গে করমর্দন করেন কিন্তু বিরাট যখন তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে এগিয়ে যান তখন তিনি পুরোটা অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যান৷ চেষ্টা করছিলেন, তখনও তিনি তার পাশ দিয়ে হেঁটে যান। কেকেআর বনাম আরসিবি ম্যাচের সময় এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়।
দেখে নিন কী ঔদ্ধত্য রিঙ্কুর
তবে কিছু রিঙ্কু ফ্যান এখনও কেকেআরের ধামাকা ক্রিকেটারের হয়েই সওয়াল করছেন৷ তাঁদের মতে রিঙ্কু হয়তো কোহলিকে অভিবাদন জানাতে ভুলে গিয়েছিলেন, যার প্রতি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে৷
শাহরুখের ক্যারিশমা সকলে অভিভূত হয়ে যায়৷ এসআরকে-র আইকনিক লাইন, “পার্টি পাঠান কে ঘর পে রাখোগে তো মেহমান নওয়াজি কে লিয়ে পাঠান খুদ আয়েগা অউর পটাকে ভি লায়েগা,”- কিং খানের এই ডায়লগে উন্মাদনার জোয়ার বয়ে যায়৷
বলিউডের হিরোইন, গায়িকা, গায়কদের ঝাঁ চকচকে পারফরম্যান্সের পর আতশবাজির পর ক্রিকেটার বিরাট কোহলি এবং রিঙ্কু সিংয়ের সাথে মজাদার আলাপচারিতা জমান কেকেআরের অন্যতম কর্ণধার৷ এমনকি তাদের সাথে “ঝুম জো পাঠান” এবং “লুট পুট গয়া” এর মতো হিট গানগুলিতে নাচতে দেখে সকলেই উন্মাদনায় ভাসেন৷
এদিকে কেকেআরের রিঙ্কুর ঔদ্ধত্যের জবাব বিরাট কোহলি নিজের ব্যাট দিয়ে দেন৷ যেখানে কেকেআরের রিঙ্কু ১০ বলে ১২ রান করেন৷ আর বিরাট কোহলি ৩০ বলের হাফ সেঞ্চুরির মাধ্যমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মরশুমের দুর্দান্ত সূচনা করেছেন, যার ফলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে সাত উইকেটে হারিয়েছে। ৩৬ বলে ৫৯ রান করে, ৪ টি চার এবং ৩ টি ছক্কা মারেন৷
বেঙ্গালুরুর ১৭৭/৩ রানের লক্ষ্যে বিরাট কোহলি ১৬.২ ওভারে ৩৬ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ধারায় পৌঁছে যান এবং নতুন অধিনায়ক রজত পাতিদারকে দুই মাসব্যাপী এই লাভজনক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে জয়সূচনা এনে দেন।
ইডেন গার্ডেনে অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানার ৩১ বলে ৫৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেও কলকাতা তাদের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি এবং পাতিদার টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ১৭৪/৮-এ সীমাবদ্ধ থাকে।