দলে মাত্র ১১ জন ক্রিকেটারের উপস্থিতি সত্ত্বেও এই তরুণরা যে মানসিক কাঠিন্য দেখিয়েছেন তাতে মুগ্ধ লক্ষণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রঘুবংশী, হারনুর, রাজ্যবর্ধন হাঙ্গারগেকরদের বিরাট সার্টিফিকেট দিলেন ভিভিএস। বলেছেন এই ক্রিকেটারদের লড়াকু মনোভাব ভারতের অস্ত্র। বিশ্বকাপে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আর এমন ম্যাচেই কিনা খেলছেন না দলের খোদ ক্যাপ্টেন।
advertisement
যে ক্যাপ্টেন বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলের অধিনায়ক ইয়াশ ধুল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাঠে না নামায় অনেকের সন্দেহ হয়েছিল। আর সেই সন্দেহ থেকেই আশঙ্কার জন্ম। শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হল। অনূর্ধ্ব-১৯ খেলতে যাওয়া ভারতীয় দলে করোনার হানা। যশ ধুল ও শেখ রশিদ এদিন আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামেননি।
নিশান্ত সিন্ধু টস করতে যাওয়ায় সন্দেহের উদ্রেক হয়েছিল। দলের ক্যাপ্টেন ও ভাইস ক্যাপ্টেন-সহ মোট ৬ জন ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত। তাঁদের তড়িঘড়ি আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তিনজন ক্রিকেটারের আরটি পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর পর আরও তিনজনের নিয়মমাফিক ব়্যাপিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ফলে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়ায় ভারতীয় ড্রেসিংরুমে।
সেইসঙ্গে ম্যাচের ঠিক আগে এমন পরিস্থিতি হওয়ায় দল নামাতে রীতিমতো হিমশিম খেয়ে যায় টিম ম্যানেজমেন্ট। ইয়াশ ও রশিদ ছাড়াও পরখ, সিদ্ধার্থ যাদব, আরাধ্য যাদব ও বাসু বত্স করোনা আক্রান্ত বলে জানা যাচ্ছে। মোট ১৭ জনের স্কোয়াডে ৬ জন কোভিড আক্রান্ত। এমনটাই এদিন বিবৃতিতে জানিয়েছে বিসিসিআই।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্ট গড়ানো নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সেইসঙ্গে ভারতীয় দল পরবর্তী ম্যাচগুলিতে কীভাবে টিম নামাবে, তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ দলের ৬ জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আক্রান্ত। একদিন পরেই অর্থাৎ শনিবার উগান্ডার বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে ভারত। বিসিসিআই করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। দলের মেডিকেল স্টাফ নিয়মিত কাজ করছেন। তারা আশাবাদী উগান্ডা ম্যাচের পর কয়েকজন সুস্থ হয়ে উঠবেন।