সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও ৩ উইকেট নেন তিনি। তাই ফাইনালে তার পারফরম্যান্সের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দল। এমনকি আইপিএল ২০২২ নিলামের আগে তার দিকে নজর আছে বহু ফ্র্যাঞ্চাইজির। কোচ মোহন যাদব না থাকলে ভিকি অস্টওয়ালকে হয়তো চিনতই না কেউ। লোনাভলার একটি হিল স্টেশনে শখের ক্রিকেট খেলতেন হয়তো ভিকি শুধুমাত্র।
advertisement
তার কোচ মোহন যাদব ভিকির বাবাকে পুনে শহরে চলে যেতে বলেছিলেন যাতে তার ছেলে ক্রিকেটে আরো বেশি মনোযোগ দিতে পারে। বাঁ-হাতি এই স্পিনার ওয়েস্ট ইন্ডিজে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাপক জয় এনে দেওয়ার পরই তার বাবা-মায়ের করা প্রার্থনা এবং ত্যাগ পরিপূর্ণতা লাভ করেছে বলা যেতে পারে।
মোহন যাদব পুরনো কথা মনে করে বললেন, তিনি সর্বদা ভিকিকে দেখতেন এক নয় খুব দেরি করে আসতে, আরেক নয় অনেক তাড়াতাড়ি আসতে। তো তিনি একদিন জিজ্ঞেস করেন যে সে কোথায় থাকে? উত্তরে ভিকি জানায় তিনি লোনাভলা থেকে আসেন ট্রেন ধরে। রোজ এতটা দূরত্ব যাতায়াত করতে বেশিরভাগ শক্তি তার ট্রেনেই ব্যয় হয়ে যেত তবুও তার মধ্যে ছিল এক হার না মানা মনোভাব। মাঠে তার মধ্যে কখনও ক্লান্তি দেখেননি কোচ মোহন যাদব, সর্বদাই ভিকিকে তরতাজা দেখতেন।
লোনাভলার পাহাড় ভিকি অষ্টওয়ালকে পরিষ্কার শ্বাস বায়ু দিতে পারবে কিন্তু ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়ার জন্য তাকে মুম্বই বা পুনেতে চলে আসতেই হত। রোজকার এই যাতায়াত তাকে পরিশ্রান্ত করে তুলছিল। মুম্বই ক্রিকেট একাডেমির টুর্নামেন্ট খেলার জন্য রোজ দুই দুই চার ঘণ্টার ট্রেন সফর উপযুক্ত ছিল না ভিকির জন্য বললেন মোহন।
যারা মুম্বইয়ের ছেলে তারা বিনা পরিশ্রমে এই টুর্নামেন্ট খেলতে যায়, কিন্তু ভিকি সেটা পারে না, তাই ভিকির উচিত ছিল পুনেতে চলে আসা। কোচের উপদেশ শুনে ভিকির বাবা পুনেতে একটি ঘর ভাড়া নেন। এতে সময় এবং ক্লান্তি দুটোই বাঁচে এই তরুণ প্রতিভার। শনিবার দীর্ঘকায় এই বাঁহাতি স্পিনারকে আরও একবার জ্বলে উঠতে হবে ব্রিটিশ বধের লক্ষ্যে।