আরও পড়ুন - ATKMB vs Mumbai city FC : আইএসএলে আজ ইতিহাস বদলানোর ম্যাচ এটিকে মোহনবাগানের সামনে
অধিনায়কোচিত ইনিংস। ৩৭ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে দল যখন চিন্তায়, তখন ব্যাট হাতে ক্রিজে নামলেন অধিনায়ক। শেখ রশিদকে সঙ্গী করে জুটি গড়লেন ২০৪ রানের। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ইয়াশ ধুলের শতরানের (১১০ বলে ১১০ রান) ইনিংস মনে করিয়ে দিতেই পারে বিরাট কোহলি, উন্মুক্ত
advertisement
চাঁদদের। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে অধিনায়ক হিসাবে শতরান ছিল তাঁদেরও। ফাইনালে উঠে ইয়াশ বললেন, আমার এবং রশিদের পরিকল্পনা ছিল শেষ অবধি ব্যাট করা।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে বিরাট এবং উন্মুক্তের পর শতরান করে দারুণ লাগছে। আমরা খুব বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে যাইনি। ধীর স্থির ভাবেই খেলছিলাম। রশিদ এবং আমার জুটি ভাল ছিল। পরের দিকের ব্যাটাররাও রান পেয়েছে। রশিদ মানসিক ভাবে খুব শক্তিশালী। সব সময় তৈরি থাকে ও। ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। ব্যাট হাতে ইয়াশদের দাপটের পর ভারতের বোলাররাও অস্ট্রেলিয়ার উপর চেপে বসেন।
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। ১৯৪ রানে অল আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। বাংলার রবি কুমার নেন দু’টি উইকেট। ভিকি অস্তবাল নিয়েছেন তিনটি উইকেট। দু’টি উইকেটে পেয়েছেন নিশন্ত সিন্ধু। একটি করে উইকেট নিয়েছেন কৌশল তাম্বে এবং অংক্রিশ রঘুবংশি। এবারের সফর অন্যবারের থেকে অনেকটাই কঠিন ছিল। কারণ এবার মাঠে ও মাঠের বাইরে লড়তে হয়েছে ইয়াশ ধুলের টিমকে।
একে তো একের পর এক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তার উপর দলে করোনার হানা। কাজটা যে কতটা শক্ত ছিল তা একমাত্র ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ক্রিকেটাররাই জানতেন। তবে শেষমেশ ফাইনালের টিকিট হাতে নিয়ে ছাড়ল ভারত। কোচ ঋষিকেশ কানিতকার জানিয়েছেন একটা দল হিসেবেই খেলছে ভারত। সকলেই জানে তাদের থেকে চাহিদা কতটা। বয়সের তুলনায় ইয়াশ পরিণত।
এর পেছনে রাহুল দ্রাবিড় এবং বর্তমানে ভিভিএস লক্ষ্মণ অবদান রেখেছেন। মাঝে একটা দিন। তারপরেই ফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি অনূর্ধ্ব উনিশ ভারতীয় দল। পুরো শিবির আত্মবিশ্বাসী, পাশাপাশি সতর্ক। এত কাছে এসেও খালি হাতে ফিরতে চায় না তারা। ব্যক্তি নয়, টিম গেম! ফাইনালের আগে নতুন মন্ত্র ইয়াশদের দিচ্ছেন লক্ষণ