তিনি, আকাশ দীপ। বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে উত্থান, পরিচিতি, এবং প্রতিষ্ঠা। বাংলার জার্সিতে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে ভারতীয় দলে সুযোগ। ইংল্যান্ড সফরে বলে-ব্যাট হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স। বার্মিংহামে ১০ উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন। ওভালে ব্যাট হাতে লড়াকু হাফসেঞ্চুরিতে প্রশস্ত হয়েছিল শুভমন গিলদের টেস্ট জয় ও সিরিজ ড্র করে ফেরার রাস্তা।
advertisement
ফের বাংলার জার্সিতে নামতে চলেছেন আকাশ। রঞ্জি ট্রফিতে বুধবার থেকে ইডেনে উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাংলার। সেই ম্যাচে বাংলার বোলিং আক্রমণের অন্যতম ভরসা ডানহাতি পেসার। ক্রিকেট মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি যাঁকে মাঠের বাইরেও এক লড়াইয়ে লড়তে হচ্ছে। যে করেই হোক, ক্যান্সারের মারণকামড় থেকে দিদিকে বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ।
বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল মুগ্ধ হয়েছিলেন আকাশের দায়বদ্ধতা দেখে। লক্ষ্মী বলেছিলেন, “আকাশের দিদির কেমোথেরাপি পড়ে গিয়েছে। তাই ও বাড়তি দু’দিন ছুটি চেয়ে নিয়েছিল। ইডেনে আমাদের প্রস্তুতি শিবিরে দিন দুয়েক পরে যোগ দিল। ওর দায়বদ্ধতা দেখে দলের সকলেই মুগ্ধ।”
ইডেনে সোমবার সকালে নেটে দীর্ঘক্ষণ বোলিং করলেন আকাশ। প্র্যাক্টিসের শেষে বলছিলেন, “দিদির কোলনের ক্যান্সার। ১২টা কেমোথেরাপি করা হবে। দশম কেমোথেরাপিটা করিয়ে এলাম। লখনউয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আগের চেয়ে ভাল আছে। ঈশ্বরের কাছে সকলে প্রার্থনা করছি।”
বিহারের সাসারামে বাড়ি আকাশ দীপের। বাংলার ম্যাচ থাকলে কলকাতায় আসেন। দিদির চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সময়ে কলকাতায় আসতে পারেননি। বলছিলেন, ‘সাসারাম থেকে গাড়িতে করে এলাম। প্রায় সাড়ে পাঁচশো কিলোমিটার রাস্তা। ৮-৯ ঘণ্টা মতো লাগল। প্রথম দেড়শো কিলোমিটার আমি গাড়ি চালিয়েছি। তারপর ড্রাইভার ছিলেন। মাঝে একটা জায়গাতেই দাঁড়িয়েছিলাম। দুর্গাপুরে আমার এক বন্ধুর বাড়িতে। তারপর সোজা কলকাতা।’