দীর্ঘদিন বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলা অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। বিসিসিআইয়ের ট্যুইটে অলরাউন্ডার আখ্যা দিয়ে চুনী গোস্বামীর কৃতিত্বের কথা তুলে ধরা হয়। একবার শুক্রবার রাতে প্রিয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব চুনী গোস্বামীর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভও ট্যুইট করেন। ট্যুইটে প্রিয় চুনীদাকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সৌরভ লেখেন, "হঠাৎ করে এতজন কাছের মানুষের চলে যাওয়ার খবরে মর্মাহত। ক্রীড়াজগত আরও এক নায়ককে হারাল। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি চুনীদা। ফুটবলের সর্বকালের সেরা। সায়াহ্নে এসে জীবন সব হিসেব বুঝে নেয়। কিন্তু এবারেও আপনিই জিতলেন।"
advertisement
ভাল নাম সুবিমল গোস্বামী। কিন্তু ময়দান-সহ গোটা বিশ্ব চিনত চুনী গোস্বামী হিসেবেই। ফুটবল পায়ে হোক কিংবা ব্যাট-বল হাতে একের পর এক নজির করে গিয়েছেন তিনি। আসলে একাধিক খেলায় পারদর্শী ছিলেন চুনী গোস্বামী। একদিকে, ফুটবলে ভারতের অধিনায়ক হিসেবে এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছেন। আবার বাংলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন রঞ্জি ফাইনাল। আবার ফুটবলে একের পর এক গোল করছেন। অন্যদিকে, ক্রিকেটে বল হাতে রোহন কানহাইয়ের মত দুরন্ত ক্যরিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে আউট করেছেন। এমন অবিশ্বাস্য নজির ছিল চুনী গোস্বামীর দখলে। এরকম বিরল প্রতিভা ভারতীয় খেলাধুলোয় তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রীড়ামহলেও দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে।
চুনী গোস্বামী ডান হাতে ব্যাট করার পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বল করতেন। ১৯৬২- ৬৩ মরশুমে বাংলার হয়ে রঞ্জি অভিষেক হয়। তাঁর নেতৃত্বে রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল খেলে বাংলা ক্রিকেট দল। যদিও ১৯৭২ সালে অধিনায়ক হিসেবে বাংলাকে রঞ্জি ফাইনালে তোলার আগে ১৯৬৯ সালে ক্রিকেটার হিসেবে রঞ্জি ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা ছিল চুনী গোস্বামীর। মোট ৪৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন চুনী গোস্বামী। ১৫৯২ রান। একটা সেঞ্চুরি। ৭টি হাফ সেঞ্চুরি। ব্যাটিং গড় ২৮.৪২। বল হাতে ৪৭টি উইকেট পান। একবার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে।
১৯৬৬ সালে গ্যারি সোবার্সের নেতৃত্বে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের সম্মিলিত দলের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছিলেন চুনী গোস্বামী। ইনদওরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন চুনী গোস্বামী। ব্যাট হাতেও করেন গুরুত্বপূর্ণ ২৫ রান। ম্যাচে তাঁর দাপটেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরে যায়। ২০১১-২০১২ মরশুমে সিএবির তরফে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেওয়া হয় চুনী গোস্বামীকে।
Eeron Roy Barman
