রোহিত চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলেই আউট হয়ে যান। জশ হ্যাজেলউড-এর ডেলিভারি সামলাতে না পেরে রোহিত ব্যাটের বাইরের প্রান্তে লাগিয়ে বলটা স্লিপে পাঠিয়ে দেন, ম্যাথিউ রেনশো সহজ ক্যাচটি ধরেন। রোহিত ১৪ বল খেলে মাত্র ৮ রান করেন।
তার পর বিরাট কোহলি ব্যাট করতে নামেন এবং কিছুক্ষণ উইকেটে থাকলেও তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি। তিনি ৮টি বল খেলার পর মিচেল স্টার্কের শিকার হন। স্টার্ক তাঁকে অফ-স্টাম্পের বাইরে একটি লোভনীয় ডেলিভারি দেন, যেটিতে কোহলি ড্রাইভ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বলটি সোজা গিয়ে পড়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। কুপার কনোলি ডাইভ দিয়ে দারুণভাবে ক্যাচটি ধরে ফেলেন।
advertisement
এই দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে ভারতের শুরুটাই হয়ে যায় হতাশাজনক। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি-র আউট হওয়ার পর সবার নজর ছিল ভারতের নতুন অধিনায়ক শুভমান গিল এবং সহ-অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার-এর দিকে। সবার প্রত্যাশা ছিল যে এই দুই তরুণ ব্যাটসম্যান দলের ইনিংস সামলাবেন। কিন্তু তাঁরা ভক্তদের হতাশ করেন এদিন।
আরও পড়ুন- “তোমরা আমাদের খেলোয়াড়দের মারবে আর আমরা দেখব…!” পাকিস্তানকে জবাব রশিদ খানের
ভারতীয় অধিনায়ক শুভমান গিলকে আউট করেন নাথন এলিস। নবম ওভারের প্রথম বলেই গিল নিজের উইকেট হারান। এলিসের বলে ভাল রকম বাউন্স ছিল। যদিও গিল সম্প্রতি বাউন্সি পিচে ভাল খেলছিলেন, তবুও এবার একটি ভুল করে বসেন।
শর্ট বল তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে সোজা উইকেটকিপারের গ্লাভসে চলে যায়। গিল ১৮ বল খেলে মাত্র ১০ রান করেন।
শুভমান গিলের মতোই অবস্থা হলো শ্রেয়াস আইয়ারেরও। তিনি কিছুটা সময় ধরে সংযমের সঙ্গে ব্যাটিং করেন। ২৪টি বল খেলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র ১১ রানেই আউট হয়ে যান। এলিসের মতোই শর্ট-পিচড ডেলিভারি এবার দেন জশ হ্যাজেলউড, যা শ্রেয়স সামলাতে পারেননি। অর্থাৎ ভারতীয় ব্যাটারদের দুর্বলতা যে শর্ট বল, তা ধরতে বেশি সময় লাগেনি অজি পেসারদের।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ও বারে বারে বৃষ্টির বাধা, পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে বড় স্কোর করতে পারল না ভারতীয় ক্রিকেট দল। ২৬ ওভারের ম্যাচে ২৬ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৬ করে টিম ইন্ডিয়া। ২১.১ ওভারে জয়ের জন্য রান তুলে নিল অজিরা।