১১ জানুয়ারি শুরু তৃতীয় টেস্ট। আভাস অনুযায়ী, টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা রাখতে পারে ইশান্তের উপর। একশোরও বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৩৩ বছর বয়সি তারকা পেসারটির। সেই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তাঁর শারীরিক উচ্চতাকেও কাজে লাগাতে চাইবে টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় দলে ইশান্ত ছাড়া কোনও পেসারের উচ্চতাই ছয় ফুটের বেশি নয়। তিনিই সবচেয়ে লম্বা। ছয় ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার সুবাদে পিচ থেকে বাড়তি বাউন্স আদায় করতে পারবেন তিনি।
advertisement
ওয়ান্ডারার্সে ভারতীয় বোলিংয়ে যা দেখা যায়নি। যশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সামি জোর দিয়েছিলেন স্যুইংয়ে। কিন্তু, তাতে কাজ হয়নি। শার্দূল ঠাকুর ছাড়া কোনও পেসারকেই খুব একটা বিপজ্জনক মনে হয়নি। অন্যদিকে, প্রোটিয়া পেসাররা কাজে লাগিয়েছেন পিচের অসমান বাউন্সকে। রাবাডা, এনগিডিরা ফায়দা নিয়েছেন উচ্চতার। হারের পর সে কথা স্বীকারও করেছেন ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
তিনি বলেন, ওদের বোলাররা বেশি বিব্রত করেছে। এর একটা কারণ হতে পারে উচ্চতা। এই ধরনের অসমান বাউন্সের পিচে বাড়তি উচ্চতা থেকে বল ছাড়লে তা সমস্যা তৈরি করে। অনেক সময় এই উচ্চতাই ফারাক গড়ে দেয়। আমাদের বোলাররা হয়তো সেই কারণেই বেশি ঝামেলায় ফেলতে পারেনি ওদের। উমেশের শক্তি হল ঘণ্টায় ১৪০ কিমি গতিতে মারাত্মক আউটস্যুইং।
যদিও উমেশের বোলিংয়ে শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। প্রায়শই আলগা বল করে ফেলেন। ফলে বিপক্ষ ইনিংসে লাগাতার চাপ ধরে রাখতে সমস্যা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনও টেস্টেই বড় রান ওঠেনি। কম রানের ম্যাচে উমেশকে খেলানো কতটা যুক্তিযুক্ত হবে, তা নিয়ে সে জন্যই থাকছে সংশয়। বরং, ইশান্তের মতো রক্ষণাত্মক মানসিকতার বোলার বেশি কার্যকরী হবেন বলে ধারণা ক্রিকেট মহলের।
অতীতে বিদেশের মাটিতে ইশান্ত অনেক মনে রাখার মত স্পেল করেছেন। বিশেষ করে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে তাঁকে সামলানো সহজ নয়। শামির মত সুইং না থাকলেও উচ্চতা কাজে লাগিয়ে বল মুভ করাতে পারেন। কাটার ব্যবহার করতে পারেন বুদ্ধি করে। দক্ষিণ আফ্রিকার দুজন ব্যাটসম্যান এলগার এবং বাভুমাকে আউট করার ক্ষেত্রে ইশান্ত বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন।