ক্রিকেটের মাঠে তাঁর গর্জন ভয় পাইয়ে দিত বিপক্ষ দলের ক্রিকেটারদের। তাঁর ইস্পাতকঠিন মানসিকতা আজও উদাহরণ। সেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের চোখ ছলছল হল এক মহিলার জন্য!
দাদাগিরির মঞ্চে এসেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার প্রতিযোগী ইন্দ্রাণী সান্যাল। তিনি জানান, তাঁর স্বামী একটা সময় বিমান বাহিনীতে ছিলেন। স্বামীকে হারিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- হরমনপ্রীতকে ছাড়াই সহজ জয়, স্মৃতির আরসিবিকে হারিয়ে লিগ শীর্ষে মুম্বই
advertisement
এক ছেলে, এক মেয়ে তাঁরা। দুজনেই বাইরে থাকেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি প্রায় একা। ইন্দ্রাণী এখন নিজের মতো করেই বাঁচতে শিখেছেন। একটা সময় বিমান বাহিনীর স্কুলে পড়াতেন।
ইন্দ্রাণী বলেন, ‘কার্গিল যুদ্ধের সময় আমরা হিলটনে ছিলাম। সেই সময় একের পর এক মৃতদেহ আসত। সামনে থেকে সেগুলো দেখেছি দাদা। অনেক স্ত্রীকে দেখেছি, মৃতদেহগুলো ছুঁয়ে বলে উঠতেন, না এটা আমার স্বামী নয়। সেই মৃতদেহগুলোর বেশিরভাগ চোখে দেখা যায় না। হয়তো শুধু মাথাটুকু রয়েছে।’ কথাগুলো শুনে দাদার চোখ ছলছল করে।
দাদাগিরির মঞ্চে এই প্রথমবার হয়তো সৌরভ এতটা আবেগপ্রবণ হলেন।তিনিও বলে উলেন, সেনা জওয়ানদের এই আত্মত্যাগকে স্যালুট। তবে শুধুই মন খারাপের মুহূর্ত নয়, দাদা ও ইন্দ্রাণী বেশ কিছু ভাল সময়ের জন্মও দিলেন বটে।
আরও পড়ুন- দেশের হয়ে অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন দু’বার, সেই ক্রীড়াবিদকে প্রার্থী করল বিজেপি
৫৮ বছর বয়সী ইন্দ্রাণী দাদার কাছে আবদার করলেন, তোমার হাতটা আরেকটু ছুঁয়ে থাকি না। মনে হচ্ছে যেন আমার স্বামী তোমাকে ছুঁয়ে রয়েছে। দাদা আরও আবেগপ্রবণ হলেন। কিছুটা অপ্রস্তুত হয়েও নিজেকে সামলে নিলেন ডাকাবুকো ক্যাপ্টেন।