কিন্তু এবার খালি হাতে ফিরতে নারাজ তিনি। ভাল খেলে হেরে যাওয়া, রানার্সআপ হওয়া, এসবের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড পরিচিত। অনেকটা যেন বিশ্ব ফুটবলের নেদারল্যান্ডস। অস্ট্রেলিয়া ট্রফি জয়ের ব্যাপারে অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে। গত বুধবার আবুধাবিতে প্রথম সেমিফাইনালে নিশামের ১১ বলে ২৭ রানের ঝড়েই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিউইদের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন নিশাম।
advertisement
তুলির শেষ আঁচড় দেওয়া ড্যারিল মিচেলসহ পুরো কিউই ডাগআউট উল্লাসে মেতেছিল ঠিকই। কিন্তু নিশাম তখন চেয়ারে ঠায় বসেছিলেন। ম্যাচ শেষে উদযাপন বাদ দিয়ে নির্বাচক বসে থাকা নিয়ে ক্রিকইনফোর টুইটের জবাবে নিশামের হাস্যরসাত্মক রিটুইটেও মন ভরেনি ক্রিকেট নিউজিল্যান্ডের (এনজেডসির)। তাই আবার একই প্রশ্ন। নিশাম এবার এনজেডসিকে বলেন, ‘সেমিফাইনাল জিতে উদযাপন করাই যায়। তবে অর্ধেক পৃথিবী পাড়ি দিয়ে শুধু একটা সেমিফাইনাল জিততে তো আসিনি।’
নিউজিল্যান্ড এই নিয়ে সর্বশেষ তিনটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল খেলছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, প্রতিবারই তারা আন্ডারডগ হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করলেও পরে হয়ে ওঠে ফেবারিট। নিজেদের এমন সাফল্য নিয়ে কিউই অলরাউন্ডার নিশাম বললেন, ‘দল হিসেবে আমরা অনেক অভিজ্ঞ। গত পাঁচ ছয় বছর ধরে টুর্নামেন্টগুলোতে আমরা প্রচণ্ড ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে আসছি। সময়মত রিসেট বাটন প্রেস করতেও আমরা জানি।’
পাকিস্তানকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামবে বিলক্ষণ জানেন জিমি। তবে এই নিউজিল্যান্ড দলটা নতুন ইতিহাস রচনা করতে এসেছে মনে করেন তিনি। কোন সুপারস্টার নেই, একটা সঙ্ঘবদ্ধ দল। এটাই ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের ট্রেডমার্ক। নিশাম মনে করেন এবার চাকা ঘুরবে। প্রথমবার আইসিসি সীমিত ওভারের টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড।