#দুবাই: মাঝে ছয় বছরের পার্থক্য। সেটা ছিল ২০১৫। একদিনের বিশ্বকাপ ফাইনাল। আর এটা টি টোয়েন্টি। এমসিজি-তে সেদিন নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ আবার চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। বছর বদলাল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের ভাগ্য বদলাল না।আবার একটা আইসিসি ট্রফির ফাইনালে উঠে হার। খালি হাতে ফেরা। অনেকটা ফুটবল বিশ্বকাপের নেদারল্যান্ডস যেন। সব আছে, শুধু চ্যাম্পিয়নের ভাগ্যটা নেই।
advertisement
ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া মানে কাপ জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অন্তত ট্র্যাক রেকর্ড তাই বলে। কেভিন পিটারসেন থেকে শুরু করে বেশিরভাগ ক্রিকেট পন্ডিত ফাইনালে অভিজ্ঞতার জন্য এগিয়ে রেখেছিলেন অজিদের। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য বাজি ধরেছিলেন নিউজিল্যান্ডের পক্ষে। প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক উইলিয়ামসন সিংহভাগ অবদান রেখেছিলেন রান তোলার ক্ষেত্রে। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৭৫ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তাই নিউজিল্যান্ডের এই রান অজিরা তুলতে পারবে না এমন ভাবার কারন ছিল না।
অধিনায়ক ফিঞ্চ আজকেও ব্যর্থ। বোল্টের বলে ফিরে গেলেন ৫ রান করে। এলেন মিচেল মার্শ। এসেই আক্রমণ শুরু করলেন। অ্যাডাম মিলনের মত গতিশীল বোলারকে বাউন্ডারির বাইরে ফেললেন। তবে এই ম্যাচটা জেতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার আসল বাজি যে ডেভিড ওয়ার্নার সেটা জানাই ছিল। পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়া তুলল ৪৩/১। রান তোলার গতিতে তুলনায় নিউজিল্যান্ডের থেকে এগিয়েছিল তারা।
এরপর দুই স্পিনার ইশ সোধি এবং স্যানটনার আক্রমণে এলেন। কিন্তু বিশেষ চাপে পড়ল না অস্ট্রেলিয়া। দশ ওভারের আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছে ম্যাচটা। দশ ওভারে ৮২ রানে এক উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জেমস নিশামকে আক্রমণে আনলে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন মার্শ। একই ওভারে আবার ছক্কা হাঁকান ওয়ার্নার। পৌঁছে গেলেন অর্ধশতরানে।
১২ ওভারের মধ্যে ১০০ তুলে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ডকে কিছুটা অক্সিজেন দিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ওয়ার্নারকে (৫৩) বোল্ড করলেন। এলেন ম্যাক্সওয়েল। মিচেল মার্শ নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেললেন। হতাশ করলেন ইশ সোধি। একাধিক ওয়াইড বল করলেন।সাত বল বাকি থাকতে ম্যাক্সওয়েল বাউন্ডারি মেরে লক্ষ্যে পৌঁছে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নিজেদের প্রথম টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল। চোখের জলে বিদায় নিল নিউজিল্যান্ড।