প্রথম ম্যাচে ১৮ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে ম্যাচ জেতানোর পর শেষ ম্যাচে ৩১ বলে ৬৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে শুধু বিপদমুক্ত করেননি, দলের রান ম্যাচ জেতার মত জায়গায় নিয়ে যান তিনি। তৃতীয় ম্যাচে সূর্যকুমার ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের ৩৭ বলে ৯১ রানের ঝোড়ো পার্টনারশিপের জন্যই ভারত ১৮৪ তে পৌঁছয়, শিশিরভেজা বলেও যে রান তাড়া করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে অসম্ভব হয়ে ওঠে। শেষ ম্যাচ ১৭ রানে জিতে একদিনের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি- টোয়েন্টি সিরিজও হোয়াইটওয়াশ করে ভারত।
advertisement
ম্যাচের পাশাপাশি ও সিরিজ সেরার পুরস্কার জেতার পর স্বভাবতই খুশি সূর্যকুমার। তার প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, প্রথম ম্যাচে যা করেছিলাম, সেটাই এই ম্যাচে করতে চেয়েছিলাম। রোহিত আউট হয়ে যাওয়ার পর চেয়েছিলাম কেউ আমার সাথে থাকুক, যাতে ম্যাচ জেতার মত স্কোর আমরা করতে পারি। টিম মিটিংয়ে আমরা দীর্ঘসময় ধরে আলোচনা করেছি চাপের মুহূর্তে আমাদের কিভাবে খেলতে হবে তা নিয়ে, ভালো লাগছে যে সেই খেলাটা আমরা খেলতে পেরেছি।
তার আরো সংযোজন, আমি নিজের উপর কোনোরকম চাপ নিইনি। নেটে অনুশীলনের সময় নিজের উপর একটু কড়া থাকতাম, প্রত্যেকটা বলই গায়ের জোরে মারার চেষ্টা করিনি, প্রতিটা নেট সেশনে আমি চেষ্টা করেছি যাতে আমার ব্যাটিং আরো উন্নত করা যায়। মুখিয়ে রয়েছি পরের সিরিজের জন্য। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ হোয়াইটওয়াশ করার পর, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ঘরের মাঠেই তিন ম্যাচের শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে ভারত।
কোহলি ও ঋষভের অনুপস্থিতিতে সাম্প্রতিক ফর্মের ভিত্তিতে সূর্যকুমার যাদবের উপর দল যে নির্ভর করে থাকবে তা বলাই বাহুল্য। সূর্যকুমার অবশ্য মনে করেন ব্যাটিং করার সময় তিনি যতটা সম্ভব সোজা ব্যাটে টাইমিং নির্ভর খেলা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। ভবিষ্যতেও সেটাই করে যাবেন। মিডল অর্ডারে দলকে ভরসা দেওয়া তার একমাত্র লক্ষ্য।