মারগাওয়ের পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে ৫-০ গোলে চূর্ণ করল তারা। জোড়া গোল করে আইএসএলের ইতিহাসে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ডটি নিজের দখলে নিলেন বার্থোলোমিউ ওগবেচে। এদিন ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় গোল করে হায়দরাবাদকে এগিয়ে দেন ওগবেচে। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ব্যবধান বাড়ান আকাশ মিশ্র। দ্বিতীয়ার্ধে হলো তিনটি গোল।
advertisement
৬১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় তথা রেকর্ড সৃষ্টিকারী গোলটি করে খালিদ জামিলের দলের সমস্যা বাড়িয়ে দেন ওগবেচে। ৮৪ মিনিটে নিখিল পূজারী ও ৮৮ এডু গার্সিয়া হায়দরাবাদের বাকি গোল দুটি করেন। ম্যাচের প্রথম সুযোগটি কাজে লাগিয়েই গোল করেন ওগবেচে। ১৪ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল নর্থইস্টের কাছে, কিন্তু জাকারিয়া ডায়ালো বল জালে জড়াতে পারেননি।
৩৫ মিনিটে জোয়েল চিয়ানেসের কর্নার থেকে আকাশ মিশ্রর হেড গোলে ঢোকার মুখে লাইন থেকে তা বাঁচান গোলকিপার শুভাশিস রায়। এরপর চিয়ানেসের কর্নারে মাথা ছুঁইয়েই দুরন্ত গোল করেন আকাশ। প্রথম গোলটির ক্ষেত্রেও অবদান ছিল কুশলী চিয়ানেসের। দ্বিতীয়ার্ধে আর লড়াইয়ের জায়গাতেই ছিল না নর্থইস্ট। ভিপি সুহের অফ সাইডের ফাঁদে জড়ানোয় তাদের একটি গোল বাতিলও হয়।
ওগবেচে এদিন আইএসএলের ৪৯তম গোলটি করে ভেঙে দিলেন সুনীল ছেত্রী ও ফেরান কোরোমিনাসের ৪৮টি গোলের রেকর্ডটি। ওগবেচে এর আগে নর্থইস্ট ইউনাইটেড ও কেরালা ব্লাস্টার্স এফসির হয়েও আইএসএল সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন। আবার সোনার বুট পাবেন কিনা ওগবেচে সেটা সময় বলবে। কিন্তু তিনি যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে এই সম্মান আবার পেলে কিছু বলার নেই।
পাশাপাশি একটা দল হিসেবে হায়দারাবাদ দুরন্ত ফুটবল খেলছে। স্প্যানিশ ম্যানেজার মানলো মারকুয়েজ দলটাকে একটা সিস্টেমে তৈরি করেছেন। বিদেশিদের পাশাপাশি একাধিক ভারতীয় ফুটবলার এই দলটার সম্পদ। দেখে মনে হচ্ছে এবার হায়দারাবাদ প্রথমবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারে।
ওগবেচে ছাড়াও তরুণ স্প্যানিশ স্ট্রাইকার সিভেইর ভাল সার্ভিস দিচ্ছেন। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার পর ওগবেচেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুনীল ছেত্রী। ভারতের ফুটবল অধিনায়ক মজা করে বলেছেন তিনি এই মরশুমে যত গোল মিস করেছেন, সেভাবে চলতে থাকলে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকারের রেকর্ড বেশ কিছুদিন অক্ষত থাকবে।
