তাঁর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলা এবং ভারতবর্ষের ফুটবলের অন্যতম সফল ফুটবলার এবং কোচ সুভাষ ভৌমিকের অবদান ভোলা সম্ভব নয়। ২০১৩ সালে তাকে ক্রীড়া গুরু সম্মানে ভূষিত করেছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তার ফুটবলার হিসেবে এবং কোচ হিসেবে সাফল্য আগামী প্রজন্মকে প্রেরণা দেবে।
advertisement
ভারতীয় ফুটবল আজ এক কিংবদন্তিকে হারাল। সুভাষ ভৌমিকের শেষ যাত্রায় ছিলেন ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এরাও নিজেদের যৌবনকালে চুটিয়ে দেখেছেন সুভাষ ভৌমিকের খেলা। বাইচুং ভুটিয়া বললেন সুভাষ ভৌমিক কত বড় কোচ এবং ম্যানেজার ছিলেন সেটা অল্প কথায় বলা সম্ভব নয়। আমরা আশিয়ান কাপে সুভাষদার প্রেরণাতেই চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছিলাম। নিজের সময় থেকে এগিয়ে ভাবতে পারতেন। কলকাতা ময়দানে ওর কোচিংয়ে অনেক আধুনিক দিক প্রথমবার দেখা গিয়েছিল। আমি টাইগার বলে ডাকতাম।
দেবজিত ঘোষ বলেন ২৫ থেকে ২৬ ফুটবলার সবাই বড় মাপের ফুটবলার ছিল ২০০৩ সালে। কিন্তু সুভাষদা প্রত্যেককে সমান চোখে দেখতেন। সমান মর্যাদা দিতেন। এটাই আমাদের দল হয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক বার্তা দিয়েছেন ভারতের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার আইএম বিজয়ন। সুভাষ ভৌমিক নেই বিশ্বাস করতে পারছেন না কালো হরিণ।
হাসপাতালে গুরুকে শেষ দেখা দেখতে আসেন দীপঙ্কর রায়। সুভাষ ভৌমিককে নিয়ে দীপঙ্কর রায় বলেছেন, সুভাষ ভৌমিকের চলে যাওয়াটা ভারতীয় ফুটবলের বড় ক্ষতি, ফুটবলার হিসেবে এবং কোচ হিসেবেও। আমি আমার কেরিয়ারের ৮০ শতাংশ ভৌমিক স্যারের অধীনে খেলেছি। কিভাবে সব খেলোয়াড়কে এক সাথে রাখা যায়, সেটি করে দেখাতেন ভৌমিক স্যার।
এদিকে সুভাষ ভৌমিকের অধীনে দুর্দান্ত খেলা চন্দন দাস বলেন, সত্যি এই খবরটা আমাদের কাছে খুব বেদনাদায়ক এবং আমি খুব মর্মাহত। আমার মনে হয়, যদি ভারতীয় ফুটবলে আধুনিকতা কেউ নিয়ে আসে, সেটা সুভাষ ভৌমিক। এখন যে জিনিসটা খুব সহজ, সেটা সেই সময়ে নিয়ে এসেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। অনুশীলনের পর ভাত-মাংস, চিকেন স্টু থেকে বেরিয়ে বয়েল্ড চিকেন, পাস্তার প্রচলন এনেছিলেন সুভাষ ভৌমিক।