শুধু টুইট করে প্রশংসা করাই নয়, প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের টার্গেটও কার্যত বেঁধে দিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে মাত্র ৭৩ ওভার খেলা হয়। যদিও প্রায় একদিনের ক্রিকেট কিংবা টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করে ভারতীয় দলের স্কোরকে প্রায় সাড়ে ৩০০-র কাছাকাছি নিয়ে চলে গেছেন পন্থ ও জাড্ডু। প্রথম দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৭ উইকেটে ৩৩৮। সৌরভ বলছেন, দ্বিতীয় দিন ভারতীয় দলের টার্গেট হওয়া উচিত ৩৭৫ রান। অর্থাৎ আর ৩৫-৪০ রান করতে পারলে ইংল্যান্ড ব্যাটিং অর্ডারকে চাপে ফেলে দেওয়া সম্ভব বলেই মনে করছেন সৌরভ। পন্থ ১৪৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও উইকেটে এখনও ৮৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। হাতে তিন উইকেট। টেলএন্ডাররা একটু সামলে দিতে পারলেই সৌরভের দেওয়া লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব।
advertisement
৩৭৫ এর বেশি রান করতে পারলেই ম্যাচের রাশ অনেকটাই ভারতের হাতে চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে । এমনিতেই ভারতের বোলিং লাইন আপ বর্তমানে বিশ্বসেরা। প্রথম ইনিংসে ভারত যদি পৌনে চারশো রান তুলতে পারে তাহলে বুমরা,সিরাজ, শামিরা স্টোকদের বেকায়দায় ফেলতে পারবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন : ধ্বংসস্তূপ থেকে ভারতকে উদ্ধার! দুরন্ত সেঞ্চুরিতে ইংরেজদের দাদাগিরি দেখালেন ঋষভ পন্থ
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে জেমস অ্যান্ডারসনদের বোলিং দাপটে দিশেহারা অবস্থা হয় ভারতীয় টপ অর্ডারের। ব্যর্থতার তালিকায় একে একে নাম লেখান গিল থেকে বিরাট। হনুমা বিহারী থেকে পূজারা, শ্রেয়াস আইয়াররা। ৯৮ রানে পাঁচ উইকেট পড়ে যায়। এরপরই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ভারত। পন্থের ব্যাটিং তাণ্ডবে দিশেহারা দেখায় ইংরেজ বোলারদের। ২০০ রানের বেশি পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে নিরাপদ স্কোরে পৌঁছে দেন দুজন।
আরও পড়ুন : বার্মিংহামে কোহলির বোল্ড হওয়ার ভিডিও ভাইরাল! নিজেই হাসলেন আউট হয়ে
ইতিহাস বলছে, এখন পর্যন্ত এজবাস্টনের এই মাঠে ভারত একবারই ১৯৮৬ সালের টেস্ট ম্যাচ ড্র করতে পেরেছিল। সে বার প্রথম ইনিংসে ৩৯০ রান স্কোর করেছিল ভারত। সেই ম্যাচ ছাড়া বাকি কোনও ম্যাচেই ভারত এই মাঠে ৩০০ রান পার করতে পারেনি। ৩৬ বছর পর কিন্তু ফের ভারতীয় দলের ৩০০ রান বার হল এই মাঠে। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রার্থনা একটাই, ইতিহাসের যেন পুনরাবৃত্তি হয় অন্তত। অর্থাৎ টেস্ট ম্যাচ ড্র হলেই ইংল্যান্ডের মাটিতে ইতিহাস গড়ে টেস্ট সিরিজ জিতবে টিম ইন্ডিয়া।