ইনজুরির কারণে ৬ মাস জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর টেস্ট অভিষেক হয়ে গেলে শ্রেয়স আয়ারের।
কানপুরে নিউজিল্যান্ডের (India vs New Zealand) বিপক্ষে চলতি টেস্টে তিনি ১৬তম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে অভিষেকে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেছেন। ১৭১ বলে খেলেছেন ১০৫ রানের ইনিংস ( 105 runs)। হাঁকিয়েছেন ১৩টি চার এবং ২টি ছক্কা। অনেক আগে এই ছক্কা হাঁকানোয় শ্রেয়সের ওপর ক্ষেপেছিলেন ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। ঘটনাচক্রে, জাতীয় দলে কোচিংয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরে দ্রাবিড়ের ছিল এটাই প্রথম টেস্ট।
advertisement
এর আগেও অবশ্য ভারতীয় 'এ' দলে দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে খেলেছিলেন শ্রেয়স আয়ার। একবার 'এ' দলে ( India A team) দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে চার দিনের ম্যাচ খেলার সময় শ্রেয়স আয়ারকে ব্যাপক ধমক দিয়েছিলেন 'দ্য ওয়াল' খ্যতা ভারতের এই মহাতারকা। দ্রাবিড়ের রাগের কারণ ছিল শ্রেয়সের ছক্কা মারা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর পুরনো সেই ঘটনা আবার নতুন করে উঠে এল।
শ্রেয়স বলেছেন, চার দিনের ম্যাচে রাহুল স্যারের কোচিংয়ে প্রথমবার খেলতে নেমেছিলাম। আমার রান তখন ত্রিশের ঘরে। দিনের শেষ ওভারে সবাই ভেবেছিল সতর্ক ব্যাটিং করে দলক বিপদমুক্ত রাখব। দ্রাবিড় স্যার ডাগ আউটে বসেছিলেন। সেই সময় বোলারের একটা ফ্লাইটেড বলে স্টেপ আউট করে ছক্কা হাঁকাই। আকাশে বিশাল উচ্চতায় পৌঁছে বল শেষ পর্যন্ত ছক্কা হয়। ড্রেসিংরুমে হইচই পড়ে যায়।
দিনের শেষ ওভারে যে এরকম ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলব, অনেকেই ভাবতে পারেননি। দ্রাবিড় স্যার খেলা শেষে আমাকে সরাসরি এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। জিজ্ঞেস করেন আমি কেন ওই শট খেলতে গিয়েছিলাম? মানসিক লড়াই টেস্ট ক্রিকেটে কিভাবে করতে হয় সেটা তারপর থেকে শিখেছি। টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্যের খেলা। সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা।
বিপক্ষ বোলারদের ওপর কর্তৃত্ব দেখাতে গেলে দীর্ঘক্ষন উইকেটে থাকা প্রয়োজন। পরে বুঝতে পারি, উনি কী বলতে চেয়েছিলেন। তবে শুধু শ্রেয়স নন, দ্রাবিড়ের আমলে টেস্ট ক্রিকেটে অযথা ছক্কা মারা প্রায় অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ।