ওই ক্যাচ ধরার পরেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মাঠে শুয়ে পড়েন শ্রেয়স আইয়ার৷ ভারতীয় দলের ফিজিও সঙ্গে সঙ্গে মাঠে গিয়ে তাঁর শুশ্রূষা শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান ডান হাতি এই ব্যাটার৷
ড্রেসিংরুমে নিয়ে আসার পরই শ্রেয়স আইয়ারকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ টাইমস অফ ইন্ডিয়া ডট কমের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সময় শ্রেয়সের রক্তচাপ উদ্বেগজনক ভাবে কমে গিয়েছিল৷
advertisement
বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহল এক সূত্র সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, গত দু দিন ধরেই আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন শ্রেয়স৷ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর দেখা যায়, শ্রেয়সের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে৷ এর পরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
ওই সূত্রের দাবি, শ্রেয়সকে দুই থেকে সাতদিন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হতে পারে৷ কত দ্রুত তিনি সেরে উঠছেন, তার উপরেই নির্ভর করবে হাসপাতালে থাকার মেয়াদ৷ আপাতত রক্তক্ষরণে ফলে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সেই চেষ্টাই করছেন চিকিৎসকরা৷
জানা গিয়েছে, ড্রেসিংরুমে ফেরার পরই রক্তচাপ সহ শ্রেয়সের শরীরের বিভিন্ন মাপকাঠি উদ্বেগজনক ভাবে ওঠানামা করছিল৷ তখনই বিসিসিআই-এর মেডিক্যাল টিম দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷ সূত্রের খবর, একদিনের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের সহ অধিনায়কের অবস্থা এখন স্থিতিশীলই রয়েছে৷ যদিও দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে তার ফল মারাত্মক হতে পারত বলেও স্বীকার করে নিয়েছে ওই সূত্রটি৷
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, তিন সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো মাঠে ফিরতে পারেন শ্রেয়স৷ কিন্তু এখন তাঁর ফিরতে আরও বেশি সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷
আপাতত সপ্তাহখানেক সিডনির হাসপাতালেই থাকবেন শ্রেয়স৷ তার পরেই হয়তো ভারতে ফেরার ছাড়পত্র পাবেন তিনি৷
