প্রথম দিকে ধরে খেলার চেষ্টা করলেন তিনি। ইনিংসের শেষ দিকে হাত খুললেন। ৩৩ বলে ৪৬ রান এল তাঁর ব্যাট থেকে। মারলেন ২টি চার এবং ৩টি ছয়। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন শার্দূল। ষষ্ঠ উইকেট তাঁদের জুটিতে উঠল ১০৩ রান। শার্দূল ছিলেন বেশি আগ্রাসী। বেঙ্গালুরু শিবিরে তিনিই মূলত পাল্টা লড়াই পৌঁছে দিলেন কলকাতার পক্ষে। ৯টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে শার্দূল করলেন ২৯ বলে ৬৮ রান।
advertisement
আরও পড়ুন - KKR: শাহরুখের সামনে শপথ বাক্য পাঠ টিম কেকেআরের, ড্রেসিংরুমের ভাইরাল ভিডিও দেখুন
শার্দূল ঠাকুরের এমন ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখে অবশ্য অবাক হতে রাজি নন ছোটবেলার কোচ দীনেশ লাড। মুম্বই থেকে ফোনে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন সে কথা। রোহিত শর্মার কোচ নিজের হাতে বড় করেছেন শার্দূলকেও। কোচ দীনেশ লাদ মনে করেন শার্দূল কেকেআর দলে অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার বেশি সুযোগ পাবে।
তাই একদিক থেকে সেটা ভাল হয়েছে তার পক্ষে। শার্দূল কেকেআর জার্সিতে যত ভাল খেলবে, তত বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে তার সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। হার্দিক এবং রবীন্দ্র জাদেজার পর তিন নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন। কোচ দীনেশ বললেন, শার্দূল মূলত বোলিং অলরাউন্ডার। কিন্তু নিজেকে ব্যাটসম্যান হিসেবে উন্নত করে শেষ দু বছরে।
কেকেআর ওকে যে সুযোগটা দিয়েছে সেটা ওর পক্ষে দারুণ। শুধু একটা ম্যাচ নয়, মনে করে দেখুন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বৃষ্টির কারণে যে খেলাটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেখানেও কিন্তু নেমে ও ছক্কা মেরেছিল। এবারের আইপিএলে শার্দূলকে আরও ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া ইনিংস খেলতে দেখবেন। কলকাতায় আসার আগে কোচ দীনেশকে ফোন করে পরামর্শ চেয়েছিলেন ঠাকুর।
ছোটবেলার কোচ শুধু বলেছেন ব্যাটিং নিয়ে নেটে বাড়তি সময় দিতে। তাতেই সাফল্য পেয়েছেন ঠাকুর। মিলেছে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার। তবে এখানেই থামতে চান। এই আইপিএলটা শার্দূলের কাছে বিশ্বকাপের অ্যাসিড টেস্ট।