এদিকে পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আক্রম নিজের শেষশ্রদ্ধা জানালেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট আইকন শেন ওয়ার্নকে। গত শুক্রবার পরলোক গমন করেন ওয়ার্ন। ক্রিকেটের মাঠে ওয়াসিম এবং ওয়ার্ন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কিন্তু প্রাক্তন বাঁ-হাতি পাক পেসার জানিয়েছেন যে বিগত কয়েক বছরে দুজন ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। তাই তার বন্ধুর আকস্মিক এই মৃত্যু আক্রমের মনকে ভারাক্রান্ত করে তুলেছে।
advertisement
আক্রম যোগ করেন যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো, তিনিও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে ওয়ার্ন আর নেই। ক্রিকেট তথা ক্রীড়া জগতে এই ভয়ানক ক্ষতির জন্য তিনি শোকাহত এবং ওয়ার্ন পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি চ্যারিটি সিরিজে শেষবার খেলেছিলেন শেন ওয়ার্ন। সেখানে নিজের দল,শেন'স ওয়ারিয়র্স এ তার সতীর্থ ছিলেন আক্রম।
সেই পুরোনো কথা স্মরণ করে আক্রম বলেন যে তিনি এখনও অন্য বাকি সবার মত হতবাক। গত পাঁচ-ছয় বছরে তার (ওয়ার্নের) সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তারা খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন কারণ ওয়ার্ন তার(আক্রমের) স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক বন্ধু ছিল। ওয়াসিম আক্রম এবং শেন ওয়ার্ন তাদের ক্রিকেট কেরিয়ারের পরে,ধারাভাষ্যে মননিবেশ করেছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন লিগে ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচে ধারাভাষ্যে দেখা যেত এই জুটিকে।
আক্রম ওয়ার্নকে তার অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে মনে করেন। আক্রম বলেন ওয়ার্ন খুব আবেগপ্রবণ ছিলেন। তার সবসময় নতুন ধারণা ছিল, নতুন এবং ভিন্ন কিছু করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত ছিল ওয়ার্ন। বাচ্চা ছেলেদের মত হৃদয় ছিল ওর। দিল খোলা রাজা। খেলার মাঠেও ওয়ার্নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আক্রমের।
তিনি বলেন তৎকালীন সময়ে টেস্ট ক্রিকেটে দিনে ৫০-৬০ ওভার বল করতে পারতেন ওয়ার্ন। আজকাল এই সম্পর্কে কেউ ভাবেও না। বল অফ দ্য সেঞ্চুরি,সেঞ্চুরির সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি।আমার মতে, সেঞ্চুরির সেরা ব্যক্তিও ওয়ার্ন। এদিকে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামী ৩০ মার্চ বিশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন জানানো হবে শেন ওয়ার্নকে।