অন্তর্বর্তী কোচ রেনেডি সিংয়ের হাতে রয়েছে মাত্র একজন বিদেশি ফুটবলার স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল চিমা। আর কোনও বিদেশি মাঠে নামার জায়গায় নেই। স্টপার টমিস্লাভ চোট পেয়ে তিন সপ্তাহের জন্য বাইরে। ২৯ জানুয়ারি ফিরতি ডার্বিতেও তিনি অনিশ্চিত। পর্চে-আমিররা আগেই চোটের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। পেরোসেভিচের নির্বাসন এখনও ওঠেনি।
advertisement
আরও পড়ুন - ICC T20 new rules : টি ২০ ক্রিকেটে একাধিক নিয়ম বদল আইসিসির ! জানলে চমকে উঠবেন
আইএসএলে বিদেশিরা বরাবরই বড় ফ্যাক্টর। মুম্বই সিটির ইগর অ্যাঙ্গুলো- জাহু-মোর্তাদা ফলদের মোকাবিলা করার রসদ নেই লাল-হলুদে। লিগ টেবিলে দুই নম্বরে নেমে এলেও মুম্বই সিটি এফসি এবার আইএসএলে অন্যতম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। যদিও শেষ তিনটি ম্যাচে তারা একেবারেই ছন্দে নেই। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার মোর্তাদা ফল লাল কার্ড দেখার পরেই ছন্দপতন ঘটে মুম্বইয়ের খেলায়।
নর্থইস্টের বিরুদ্ধেও তারা ড্র করেছে। ওড়িশার কাছে হেরেছে ২-৪ গোলে। শেষ তিনটি ম্যাচে ১০ গোল হজম করেছে মুম্বই। ব্যর্থতা কাটিয়ে শুক্রবার জয়ের রাস্তায় ফেরার সুযোগ রয়েছে মুম্বইয়ের সামনে। কারণ, ইস্টবেঙ্গল এখন ভাঙাচোরা দল। বৃহস্পতিবার এসসি ইস্ট বেঙ্গলের স্ট্যান্ড ইন কোচ রেনেডি সিং জানিয়েছেন, ছেলেরা প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারছে না। একটু সতর্ক থাকলে বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে এক গোলে এগিয়ে গিয়েও ড্র করতে হতে না আমাদের।
শুক্রবার ম্যাচের আগে লাল-হলুদের অস্থায়ী কোচ হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচের পারফরম্যান্স থেকে অক্সিজেন পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁর বক্তব্য, বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে আমাদের ডিফেন্ডাররা ভাল খেলেছে। সেটা ধরে রাখতে পারলে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারবে দল। ওদের ভারতীয় ব্রিগেডও বেশ শক্তিশালী।
বিপিন সিং, বিক্রমপ্রতাপ সিং, রাহুল ভেকে, মাপুইয়ার মতো জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আছে। আমরা যদি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ওদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি, তাহলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেও পারে। শেষ ১৫ মিনিটে নিয়মিত গোল হজম করছে মুম্বই। ওই সময়ে আমাদেরও ঝাঁপাতে হবে।
একমাত্র বিদেশি হিসেবে ড্যানিয়েল চিমা খেলবে। ওর উপর আমার যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। অন্যদিকে মুম্বই কোচ দেস বাকিংহাম জানিয়েছেন তারা এই ম্যাচে তিনটি পয়েন্ট ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না। ওড়িশা থেকে লোন ডিলে বিনিথ রাইকে মুম্বই সই করিয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গল সবার শেষে থাকলেও তাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন বাকিংহাম।