সর্মথকরা একমত প্রতিবার ক্লাব কর্তা এবং ইনভেস্টরদের ( Shree cement) ইগোর লড়াইয়ের খেসারত দিতে হচ্ছে দলকে। কোটি কোটি ইস্টবেঙ্গল জনতার চোখের জল পড়ছে। কিন্তু সেই দুঃখ বোঝার কেউ নেই। এই দলটা জিতবে না ধরেই নিয়েছেন সর্মথকরা। ড্র করতে পারলে স্বস্তি পাচ্ছেন তারা। শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের ঐতিহ্য বোঝার ক্ষমতা ইনভেস্টর সংস্থার নেই।
advertisement
থাকলে এত নিম্নমানের বিদেশি এবং শেষের বাজারে পড়ে থাকা বাতিল ভারতীয় ফুটবলারদের দিয়ে দল গড়তেন না। হারের স্বাদ চাখা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এসসি ইস্ট বেঙ্গলের। কিন্তু ঘুরে দাঁড়ানোর বিন্দুমাত্র প্রচেষ্টা নেই। গোটা শিবির ভাবলেশহীন। এটাই এখন লাল-হলুদ অন্দরমহলের প্রকৃত চিত্র। বুধবার বিকেলে ফুটবলারদের রিকভারি ট্রেনিং করান কোচ ম্যানুয়েল ডিয়াজ।
নামতার ঢংয়ে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আরও অনুশীলনের প্রয়োজন। বড় ভুল করা কিছুতেই চলবে না।’ ইস্টবেঙ্গল নামটার সঙ্গে জড়িয়ে হাজার হাজার সমর্থকের অন্তহীন আবেগ। কিন্তু তা নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের কর্তারা। তাই তো দলের এই দুরবস্থা।
আইএসএলের প্রথম ৫টি ম্যাচে ঝুলিতে মাত্র ২ পয়েন্ট। লিগ তালিকার লাস্ট বয়ের কলঙ্ক এখন লাল-হলুদের কপালে। ১৪ গোল হজম করার পরেও অনুশোচনা নেই পর্চে-মার্সেলাদের (Franjo Prce)। গোয়ার শিবিরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, বিদেশি ফুটবলার নিয়ে প্রবল বিরক্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুই বিদেশি ডিফেন্ডার সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভাল। পরিকল্পিত পথে দল গঠন হলে এই অবস্থায় হত না।
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের প্রশ্ন, জয় কবে আসবে? উত্তর নেই শ্রী সিমেন্টের কর্তাদের কাছে। দল গঠনের সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই তাঁদের। যার খেসারত দিতে হচ্ছে কোটি কোটি সমর্থককে। তাছাড়া ক্রমশ জাঁকিয়ে বসছে চোট-আঘাত সমস্যা। এই অবস্থায় রবিবার কেরল ব্লাস্টার্সের ( Kerala blasters) বিরুদ্ধেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের হাল কি ফিরবে?
নিশ্চয়তা দেওয়ার লোক দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হবে। এদিকে, দলের হতশ্রী পারফরম্যান্স নিয়ে লগ্নিকারী সংস্থাকে ফের চিঠি দিচ্ছে ইস্ট বেঙ্গল। ১ ডিসেম্বর ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রথমবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমর্থকরা মুখ দেখাতে পারছেন না।
অনেক প্রাক্তন ফুটবলার মনে করছেন এর থেকে আই লিগ খেলা ভাল ছিল। এই ইস্টবেঙ্গল আইএসএলের উপযুক্ত নয়। গোল করলেও সঙ্গে সঙ্গে গোল হজম করছে। অবস্থা এতটাই শোচনীয়, অর্ধেক সমর্থক প্রিয় দলের খেলা দেখা বন্ধ করে দিয়েছেন।