গত দুটো বছর ধরে মাঠের বাইরের সমস্যা সমর্থকদের দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছে। সস্তা এবং ইনভেস্টর ইগো সমস্যার মূল্য দিয়েছেন কোটি কোটি সমর্থক। ২০১৯-২০ আই লিগের প্রথম ডার্বি হেরে ইস্তফা দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ আলেজান্দ্রো। তার পাঁচ দিনের মধ্যে কোচের সিটে বসেছিলেন মারিও রিভেরা। তিনি ২০১৮-১৯ মরশুমে আলেজান্দ্রোর সহকারী ছিলেন।
advertisement
ঝরঝরে ইংরেজি বলতে পারার জন্য সেবার স্প্যানিশ কোচকে সঙ্গত করতে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্বে এসেছিলেন। ১০ মার্চ কোভিডের আবহ শুরু হয় কলকাতায়। ১৫ মার্চের ফিরতি ডার্বি বাতিল হয়ে যায়। করোনার জন্য আই লিগ স্থগিত হওয়ার আগে লাল-হলুদ শেষ পাঁচটি ম্যাচের তিনটিতে জয় পেয়েছিল। ড্র দু’টিতে।
তবে মনে রাখতে হবে, আই লিগ এবং আইএসএলের মানের অনেক তফাত।
২০১৯-২০ সালে কোয়েস ইস্টবেঙ্গলে মধ্যম মানের ফুটবলার ছিলেন। এবার লাল-হলুদে ভারতীয় ব্রিগেডের মান অত্যন্ত খারাপ। আদিল খান, অঙ্কিত মুখার্জি, রাজু গায়কোয়াড় চোটে কাবু। কেউই টানা তিন- চারটি ম্যাচ খেলার মতো জায়গায় নেই। বিদেশিদের অবস্থা তথৈবচ। গত বছর খেলা ব্রাইট এনোবাখারে কিংবা মাঘোমার মানের ফুটবলারও এবার দলে নেই।
ফিফার দ্বিতীয় উইন্ডোতে খুব ভাল মানের খেলোয়াড় আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দলে উচ্চস্তরের ফুটবলার না থাকায় মারিওর পক্ষে ‘ম্যাজিক’ দেখানো কখনই সম্ভব নয়। পেরোসেভিচ একটু নজর টেনেছিল। আগামী চার ম্যাচ তিনি সাসপেন্ড। মারিওকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। উনি পুরোদমে দায়িত্ব নেওয়ার পর হাতে থাকবে মাত্র ১০টি ম্যাচ।
টিমের দুর্দশা দেখে ম্যানুয়েল ডিয়াজ সময়মতো ইস্তফা দিয়ে সরে গিয়েছেন। কিছু ফ্যান ক্লাব মারিওকে নিয়ে হইচই করার চেষ্টা করছে। তারা করতেই পারেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে তিনি ফুটবল কোচ। ম্যাজিশিয়ান নন। যদিও ফুটবলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। কিন্তু ধুঁকতে থাকা ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় পর্যায় কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেদিকে নজর থাকবে সকলের।