মুম্বই সিটি এফসি -০
#গোয়া: শক্তির বিচারে ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেক এগিয়েছিল মুম্বই। দলের কোয়ালিটি এবং বিদেশি ফুটবলার সবাই ছিলেন মুম্বই দলে। তাই ইস্টবেঙ্গল হয়তো শুক্রবার সহজেই হেরে যাবে এমন মনে করে থাকতে পারেন অনেকে। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রেনেডি সিং দলটাকে লড়াকু মানসিকতায় তৈরি করেছেন। ডিফেন্স আদিল খান আসার পর দুরন্ত খেলছে। পাশাপাশি হীরা মণ্ডল এবং সৌরভ দাসের মত বাঙালি ছেলেরা লড়াই করছেন।
advertisement
এদিন মাত্র ১৬ মিনিটে চোট পেয়ে ছিটকে গেলেন জয়নার। তার জায়গায় এলেন অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। প্রথমার্ধ এবং দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় মুম্বইয়ের দাপট বেশি থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকে কিছুতেই হার মানানো যাচ্ছিল না। রফিক এলেন পরের দিকে। অন্যদিকে মুম্বই ক্যাসিওর পরিবর্তে কাটাতাও এবং আপুইয়ার পরিবর্তে বিনীত রাইকে নিয়ে এল।
দলের সেরা স্ট্রাইকার ইগর আঙ্গুলও কিছু করতে পারছিলেন না দেখে তার জায়গায় ব্র্যাড ইনম্যানকে নামানো হল। চিমা গোল না পেলেও লড়াই করলেন। কিছুতেই গোল খাব না এই মন্ত্র নিয়ে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। কঠিন পরিস্থিতিতে গুরু দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন তিনি। স্প্যানিশ ম্যানেজার মানলো ডিয়াজ যা করতে পারেননি, সেটাই করে দেখিয়েছিলেন রেনেডি সিং।
ইচ্ছাশক্তি, জেদ, স্ট্র্যাটিজি ঠিক থাকলে লড়াই করা সম্ভব বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে প্রমাণ করেছিল ইস্টবেঙ্গল। দেখে মনে হয়েছিল এই প্রথমবার লড়াই করার চেষ্টা করছে দলটা। আইএসএলের ম্যাচে শুক্রবার মুম্বই সিটির মতো হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে ঘোরতর সমস্যায় ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
অন্তর্বর্তী কোচ রেনেডি সিংয়ের হাতে মাত্র একজন বিদেশি ফুটবলার স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল চিমা। আর কোনও বিদেশি মাঠে নামার জায়গায় ছিল না। স্টপার টমিস্লাভ চোট পেয়ে তিন সপ্তাহের জন্য বাইরে। পর্চে-আমিররা আগেই চোটের খাতায় নাম লিখিয়েছেন। পেরোসেভিচের নির্বাসন এখনও ওঠেনি। আইএসএলে বিদেশিরা বরাবরই বড় ফ্যাক্টর।
মুম্বই সিটির ইগর অ্যাঙ্গুলো- জাহু-মোর্তাদা ফলদের মোকাবিলা করার রসদ সেভাবে ছিল না লাল-হলুদে। লিগ টেবিলে দুই নম্বরে নেমে এলেও মুম্বই সিটি এফসি এবার আইএসএলে অন্যতম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। যদিও শেষ তিনটি ম্যাচে তারা একেবারেই ছন্দে ছিল না। নর্থইস্টের বিরুদ্ধেও তারা ড্র করেছে। ওড়িশার কাছে হেরেছিল ২-৪ গোলে।
শেষ তিনটি ম্যাচে ১০ গোল হজম করেছিল মুম্বই। ব্যর্থতা কাটিয়ে শুক্রবার জয়ের রাস্তায় ফেরার সুযোগ ছিল মুম্বইয়ের সামনে। কারণ, ইস্টবেঙ্গল এখন ভাঙাচোরা দল। সেটা হল না। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের লাল হলুদ ব্রিগেডের কাছে আটকে যেতে হল।
রেনেডি শেষদিকে সিডল, জ্যাকি এবং বলবন্তকে নামিয়ে জয়ের রাস্তায় হাঁটার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেটা না হলেও এই ড্র' লাল হলুদ শিবিরের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। ম্যাচের সেরা ইস্টবেঙ্গলের সৌরভ দাস।এই ড্রয়ের ফলে মুম্বই রইল শীর্ষে। ইস্টবেঙ্গল সেই শেষে।