বেঙ্গালুরু - ১
#গোয়া: গত ২৩ ডিসেম্বর আইএসএলে শেষ ম্যাচ খেলেছিল এস সি ইস্টবেঙ্গল। হায়দারাবাদ এফসির বিরুদ্ধে সেটাই ছিল লাল-হলুদ ব্রিগেডের তৎকালীন কোচ ম্যানুয়াল দিয়াজের শেষ ম্যাচ। তারপর স্প্যানিশ ম্যানেজারকে বিদায় করে অন্তর্বর্তী দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল রেনেডি সিং এর হাতে। স্প্যানিশ ম্যানেজার মারিও রিভেরা ভারতে পৌঁছে গেলেও কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাই
advertisement
জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা রেনেডির ওপর দায়িত্ব ছিল দলকে টেনে তোলার।
আরও পড়ুন - Sports Calendar 2022: ২০২২-এ খেলার সব বড় ইভেন্ট কবে, কোথায়! দেখে নিন এক ঝলকে
৪-১-৪-১ ফরমেশনে দল নামিয়েছিলেন তিনি। অনেক বেশি প্রত্যয়ী মনে হচ্ছিল
ইস্টবেঙ্গলকে। বেঙ্গালুরুর দখলে বেশিরভাগ বল থাকলেও অন্তত প্রথমার্ধে একটা ছাড়া সেভাবে ওপেন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। সৌরভ দাস, আঙ্গু, হানামতে, হীরা মণ্ডল, মহেশ সিং দের মত ভারতীয় ছেলেরা বেঙ্গালুরুরর ক্লেটন, রামিরেজ, আল্যান কোস্টাদের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রতিটা বলের জন্য লড়াই করছিলেন।
২৮ মিনিটে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। ডান দিক থেকে তোলা আঙ্গুর ফ্রি কিক বক্সের মধ্যে অনবদ্য ভঙ্গিতে ফ্লাইং হেডে ফিনিশ করেন সেমবই হাওকিপ। প্রথমার্ধের বাকি সময়টা গোল না খেয়ে শেষ করল লাল হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মহেশের জায়গায় অমরজিৎকে নিয়ে এলেন রেনেডি। ৬০ মিনিটে মার্সেলাকে তুলে নামানো হল অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়কে।
বেঙ্গালুরু অন্য দিকে নামিয়ে দিল সুনীল ছেত্রীকে। ৫৬ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনল বেঙ্গালুরু। ডান দিক থেকে রশন একটা বল ভাসিয়ে দিলেন। বক্সে সৌরভ দাস সেই বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে হেডে নিজের জালে জড়িয়ে দিলেন। তবে এক্ষেত্রে অরিন্দমকে কিছুটা দায়ী করা চলে। ৭২ মিনিটে নিশ্চিত গোল পেতে পেতেও পেল না বেঙ্গালুরু। সুনীলের পুশ গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দিলেন হীরা মণ্ডল।
এদিন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে দীর্ঘদিন পর ফিরে যোগ্যতা প্রমাণ করলেন আদিল খান। জয়নার, হীরাদের সঙ্গে নিয়ে বারবার ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন বেঙ্গালুরুর আক্রমণ। ৮০ মিনিটে সুযোগ এসে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। বলটা ঠিকমতো ট্র্যাপ করতে পারেনি হাওকিপ।