ছোটবেলায় খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা থাকলেও তেমন সাফল্য আসেনি। কিন্তু সেই অপূর্ণ স্বপ্নটাই মেয়েকে ঘিরে পূরণ করার স্বপ্ন দেখতেন। আজ সেই জলপরী মেয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক চ্যানেল পার করে নজির গড়েছেন। তবে মেয়েকে প্রথম থেকেই উৎসাহ জুগিয়েছেন বাবা রাধেশ্যাম দাস। সায়নী দাস জানিয়েছেন,”বয়স শুধুমাত্র একটা নম্বর ছাড়া আর কিছুই না। বাবা আমার কাছে অনুপ্রেরণা। এখনকার দিনে অনেকেই সাফল্য না পেলে সহজেই হাল ছেড়ে দেয়, কিন্তু বাবা এই বয়সেও শরীরচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
advertisement
এখনও তিনি থেমে নেই। গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অ্যাথলেটিক্সে ট্রেনিং দিয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাচ্ছেন। পাশাপাশি নিজেও সিনিয়র মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে অংশ নিচ্ছেন। তাঁর লক্ষ্য আন্তর্জাতিক মাস্টার্স হাডলস এবং রেস ওয়াক প্রতিযোগিতা। এর জন্য এখন চলছে রোজকার কঠোর অনুশীলন। রাধেশ্যাম দাস বলেন,”আমি এখন প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস করছি। মাঠে আশা আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। আমি বিদেশেও খেলতে গিয়েছি এর আগে। আগামী দিনের জন্য এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
রাধেশ্যামবাবু মনে করেন, অবসরের পরে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্রিয় রাখতে পারলে পরিবারও ভাল থাকে। নিজেকে পরিবারের বোঝা নয়, এক প্রেরণা হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি। একজন বাবার ভালবাসা, একজন শিক্ষকের দায়িত্ববোধ এবং একজন অ্যাথলেটের জেদ, এই ত্রিধারায় গড়ে উঠেছে রাধেশ্যাম দাসের জীবনযাত্রা যা আজ বহু মানুষকে নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে। সত্যিই এহেন জেদ এহেন ইচ্ছাশক্তি প্রশংসনীয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী