TRENDING:

East Bardhaman News: ৬৩ বছরেও থেমে নেই সায়নীর বাবা, আন্তর্জাতিক ট্র্যাকেই এখন নজর

Last Updated:

East Bardhaman News: মেয়ের আন্তর্জাতিক উড়ানে ইন্ধন জুগিয়েছেন যিনি, আজ তিনি নিজেও থেমে নেই। মেয়ে সায়নী দাস আজ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতি অর্জন করেছেন ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: মেয়ের আন্তর্জাতিক উড়ানে ইন্ধন জুগিয়েছেন যিনি, আজ তিনি নিজেও থেমে নেই। মেয়ে সায়নী দাস আজ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খ্যাতি অর্জন করেছেন ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ে। কিন্তু তাঁর এই সাফল্যের পেছনে যিনি নিরন্তর প্রেরণা হয়ে থেকেছেন, তিনি বাবা রাধেশ্যাম দাস। তবে শুধু প্রেরণাই নয়, নিজের জীবনেও তিনি রচনা করছেন এক অন্যরকম লড়াইয়ের কাহিনী। ৬৩ বছর বয়সে এসেও তিনি যেন একজন তরুণ অ্যাথলিট। বিদ্যালয় থেকে অবসর নেওয়ার পর অনেকেই বিশ্রামে যান। কিন্তু রাধেশ্যামবাবু বেছে নিয়েছেন মাঠ, ট্র্যাক, আর পরিশ্রমের পথ।
advertisement

ছোটবেলায় খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা থাকলেও তেমন সাফল্য আসেনি। কিন্তু সেই অপূর্ণ স্বপ্নটাই মেয়েকে ঘিরে পূরণ করার স্বপ্ন দেখতেন। আজ সেই জলপরী মেয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক চ্যানেল পার করে নজির গড়েছেন। তবে মেয়েকে প্রথম থেকেই উৎসাহ জুগিয়েছেন বাবা রাধেশ্যাম দাস। সায়নী দাস জানিয়েছেন,”বয়স শুধুমাত্র একটা নম্বর ছাড়া আর কিছুই না। বাবা আমার কাছে অনুপ্রেরণা। এখনকার দিনে অনেকেই সাফল্য না পেলে সহজেই হাল ছেড়ে দেয়, কিন্তু বাবা এই বয়সেও শরীরচর্চা চালিয়ে যাচ্ছেন।”

advertisement

এখনও তিনি থেমে নেই। গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অ্যাথলেটিক্সে ট্রেনিং দিয়ে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাচ্ছেন। পাশাপাশি নিজেও সিনিয়র মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্সে অংশ নিচ্ছেন। তাঁর লক্ষ্য আন্তর্জাতিক মাস্টার্স হাডলস এবং রেস ওয়াক প্রতিযোগিতা। এর জন্য এখন চলছে রোজকার কঠোর অনুশীলন। রাধেশ্যাম দাস বলেন,”আমি এখন প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস করছি। মাঠে আশা আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। আমি বিদেশেও খেলতে গিয়েছি এর আগে। আগামী দিনের জন্য এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

advertisement

আরও পড়ুনঃ Shubman Gill: ভারতের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডে ডাবল সেঞ্চুরি, সঙ্গে আরও একাধিক বিশ্বরেকর্ড গিলের ঝুলিতে

View More

রাধেশ্যামবাবু মনে করেন, অবসরের পরে নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্রিয় রাখতে পারলে পরিবারও ভাল থাকে। নিজেকে পরিবারের বোঝা নয়, এক প্রেরণা হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি। একজন বাবার ভালবাসা, একজন শিক্ষকের দায়িত্ববোধ এবং একজন অ্যাথলেটের জেদ, এই ত্রিধারায় গড়ে উঠেছে রাধেশ্যাম দাসের জীবনযাত্রা যা আজ বহু মানুষকে নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে। সত্যিই এহেন জেদ এহেন ইচ্ছাশক্তি প্রশংসনীয়।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/খেলা/
East Bardhaman News: ৬৩ বছরেও থেমে নেই সায়নীর বাবা, আন্তর্জাতিক ট্র্যাকেই এখন নজর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল