দলের সেরা সম্পদকে দল যে ধরে রাখবে সেটাই স্বাভাবিক, তাই রাজস্থান রয়্যালস তাকে হাতছাড়া করেনি। গত মরসুমের পর এই মরসুমেও রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়কত্ব করবেন স্যামসন। ২০১৩ সালে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতেই আসেন কেরালার এই ক্রিকেটার। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত তাকে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যেতে হয়নি।
advertisement
এই কয়েক বছরে তার ব্যাটিং আরো ধারালো হয়েছে। গত দুই মরসুমে ভাল প্রদর্শনের জন্যই সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে তাকে দলে ফিরিয়েছেন জাতীয় নির্বাচকরা। রেড বুল ক্রিকেট নিয়ে ক্লাবহাউস কথোপকথনে রয়্যালসের কোচ সাঙ্গাকারা স্যামসনের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ের ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে ম্যাচ উইনার বলে অভিহিত করেন।
তার অধিনায়কত্বেরও প্রশংসা করেন তিনি। সাঙ্গাকারার বক্তব্য, সে রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক হোক বা দলের ভবিষ্যৎ হোক, সে অন্যতম সেরা টি-২০ ক্রিকেটার। সে একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়, ধ্বংসাত্মক, ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখে, একজন ব্যাটারের থেকে দল যা চায় সবগুণই তার আছে। গত মরসুমে আমার কোচ হিসেবে আসার আগেই সে অধিনায়ক ছিল। আমি যখন তাকে ভালোভাবে জানতে পারলাম, তার প্রশংসা না করে পারলাম না।
রাজস্থান রয়্যালসের প্রতি সে পুরপুরি নিবেদিত প্রাণ। সে এমন একজন অধিনায়ক যে নিজে স্বীকার করে সে সবকিছু জানে না , সে নিজেকে আরো উন্নত করতে চায়। একজন ভালো অধিনায়ক হওয়ার সবগুনই আছে তার। সে আগামী দিনে আরো পরিণত হবে। গত আইপিএলে প্রায় ১৩৭ স্ট্রাইক রেটে ১৪ টি ম্যাচে ৪৮৪ রান করেন স্যামসন। ২০২০ এর আইপিএলে ১৫৯ এর স্ট্রাইক রেটে ১৪ ম্যাচে ৩৭৫ রান করেন স্যামসন।
অনেকেই মনে করছেন যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বছরের শেষ দিকে হতে চলেছে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, তাই সেখানকার বাউন্সি উইকেটে সঞ্জুর মত হুক এবং পুল মারতে পারা ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন। রোহিত শর্মা নিজে সঞ্জু স্যামসনকে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হিসেবের বাইরে রাখেননি।
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিমানে ওঠার টিকিট সঞ্জু পাবেন কিনা, তা অনেকটাই নির্ভর করছে এবারের আইপিএলে তার পারফরমেন্সের ওপর। কারণ তার প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ ছিল না কোনদিন। অভাব ছিল ধারাবাহিকতার। এবারের আইপিএলে এই দুর্নাম মুছে ফেলার সুযোগ রয়েছে সঞ্জু স্যামসনের সামনে।