ব্র্যাডম্যান না সচিন? কে বড় ব্যাটসম্যান? এই নিয়ে কম নিউজপ্রিন্ট খরচ হয়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কালোছায়া ডন ব্রাডম্যানের উপর না পড়লে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার আরও বেশি সমৃদ্ধ হতে পারতো। রান সংখ্যা, শতক সবকিছুই দ্বিগুণ হতে পারত। ৩০ বছর থেকে ৩৭ বছর বয়স পর্যন্ত ডন ব্রাডম্যান সহ সে সময়কার অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাননি।
advertisement
যে বয়সে ক্রিকেটাররা তাদের সেরা সময় কাটান, সেই সময়েই ব্রাডম্যান ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। ডন ব্রাডম্যান গড়ে প্রতিবছর ৪.৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। প্রতিবছরে ২.৪টি শতক হাঁকিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তার ক্যারিয়ার থেকে সাতটি বছর কেড়ে না নিলে হয়তো ব্রাডম্যানের শতকের সংখ্যা পঞ্চাশের আশেপাশেই থাকত। গড় হিসাব অনুযায়ী, ৮৭টি টেস্টে ৪৮টি শতক। সীমাবদ্ধতার কারণে ডন ব্রাডম্যান তার ক্যারিয়ারের ৫২ ম্যাচের সবক’টি ম্যাচ খেলেছেন ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। যার মধ্যে ৩৭টি ম্যাচ খেলেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
টেন্ডুলকার সবক’টি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষেই সফল ছিলেন। নিজ দেশের মাটির চেয়েও অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মাটিতে তার ব্যাটিং গড় বেশি! দেশের মাটিতে টেন্ডুলকারের ব্যাটিং গড় ৫২.৬৭। ইংল্যান্ডের মাটিতে ৫৪.৩১ এবং অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৫৩.২০ ব্যাটিং গড়ে রান করেছেন তিনি। ডন ব্রাডম্যান আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে ৮০ ইনিংসে ২৯টি শতক হাঁকিয়েছেন। প্রতি ২.৭৫ ইনিংসে একটি শতক হাঁকিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে শচীন টেন্ডুলকার ২০০ টেস্টে ৫৩.৭৮ ব্যাটিং গড়ে রান করেছেন। তিনি ৩২৯ ইনিংসে ৫১টি শতক হাঁকিয়েছেন। প্রতি ৬.৪৫ টেস্ট ইনিংসে একটি শতক হাঁকিয়েছেন। কিন্তু মাস্টারব্লাস্টার আজও খুলতে পারেন না অ্যাডিলেডে স্যার ডন নিজের বাড়িতে ডেকে সচিনের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন। ছিলেন শেন ওয়ার্ন। এই ছেলেটা আমার মত খেলে। কিংবদন্তির এই কথাগুলো আজও কানে বাজে সচিনের।