যখন ব্যাট করতে এসেছিলেন পরপর ফিরে গিয়েছেন চেতেশ্বর পূজারা এবং রাহানে। প্রচন্ড চাপে বিরাট কোহলি। ভারত অধিনায়ক একটা দিন ধরে রইলেন। অন্যদিকে কাউন্টার অ্যাটাক চালালেন পন্থ। কিন্তু বুদ্ধি করে, একেবারে হিসেব কষে। খারাপ শট নয়, সিঙ্গল, ডবল নিয়ে স্কোরবোর্ড চালু রাখলেন। তারপর লুজ বল পেলেই বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর বিরাট, অশ্বিন এবং শার্দুল ঠাকুর বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও, পন্থ নিজে লড়াই চালিয়ে গেলেন লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে।
advertisement
শেষ পর্যন্ত ১৩৩ বলে শতরান পূর্ণ করলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। ভারতীয় উইকেটকিপার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তিনি প্রথম শতরান করলেন। এর আগে ২০১০ সালে সেঞ্চুরিয়নে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯০ রান ছিল সর্বোচ্চ। ফাস্ট বোলার অলিভারকে যেমন বাউন্ডারি মারলেন, তেমনই ছক্কা হাঁকালেন কেশব মহারাজকে।
ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকার উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে প্রশংসা করলেন ইনিংসের। সোশ্যাল মিডিয়ায় সচিন তেন্ডুলকর লিখেছেন, পরিবেশ এবং পরিস্থিতির বিচার করে ঋষভ পন্থ যে ইনিংস খেলল সেটা মনে রাখার মত। ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ব্রিসবেনে পন্থ যে ইনিংস খেলেছিলেন, এই ইনিংস তার কাছাকাছি রাখা যেতে পারে।
শিখর ধাওয়ান বলেছেন অসম্ভব সাহস এবং ধৈর্য দেখিয়ে অনবদ্য ব্যাট করার জন্য ছোট ভাই পন্থকে শুভেচ্ছা। সুরেশ রায়না লিখেছেন, পন্থ নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং করেই ভারতকে ম্যাচে রেখেছে। বিদেশের মাটিতে অনবদ্য লড়াকু ব্যাটিং।